ইসলামাবাদের আদালতের সামনে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে যখন রক্তে ভেসে গিয়েছে পাকিস্তান, ঠিক তখনই বিস্ফোরক মন্তব্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif)। কোনও তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই তিনি ভারতের দিকে আঙুল তুললেন। তাঁর দাবি, “এই হামলার পেছনে রয়েছে ভারত-পুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী।” এমনকি দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ ও ওয়ানার ক্যাডেট কলেজে হামলাকেও ভারতের ‘রাষ্ট্র-স্পনসর্ড টেররিজম’-এর অংশ বললেন তিনি।
মঙ্গলবার পাকিস্তান সরকারের সংবাদ সংস্থা Associated Press of Pakistan (APP)-এর বরাতে শাহবাজ (Shehbaz Sharif) বলেন, “এই হামলাগুলি ভারতের মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্কের কাজ। ভারতের রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “আফগান মাটিতে বসে ভারত এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ইসলামাবাদের আদালতে হামলা চালিয়েছে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীরা, আর একই নেটওয়ার্ক ওয়ানার নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”
তবে শাহবাজের (Shehbaz Sharif) এই দাবি যে সম্পূর্ণ তথ্যবিহীন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান বহু বছর ধরেই জঙ্গি সংগঠনকে আশ্রয় দিয়েছে। আজ সেই সন্ত্রাসই উল্টো তার নিজের দিকেই ফিরছে। অথচ ইসলামাবাদ সরকার সব দায় ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক সাফাই গাইছে।
এদিন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফও একই সুরে বলেন, “আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি। ইসলামাবাদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ শুধু সীমান্তের লড়াই নয়, এটি গোটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।” তিনি (Shehbaz Sharif) কাবুল সরকারের দিকেও অভিযোগ তোলেন— “আফগান তালিবান আমাদের সঙ্গে শান্তি চায় না, বরং ভারতীয় মদতে পাকিস্তানকে অস্থির করছে।”
শাহবাজের এই বক্তব্যে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে। কারণ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভারত। এখন ইসলামাবাদে একই কায়দায় হামলা ঘটার পরেই পাকিস্তান সরকারের এই ভারতবিরোধী মন্তব্যকে অনেকেই ‘রাজনৈতিক ব্লেম গেম’ বলে ব্যাখ্যা করছেন।










