দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন বিস্ফোরণকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উপস্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। সোমবার সন্ধ্যার সেই বড় ধাক্কা ক্ষত তৈরি করেছে বহু পরিবারের হৃদয়ে—এমনটাই বলে মোদী ভুটানে ভাষণে মন্তব্য করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের যথাযথ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও বলেন (PM Modi)।
বৃহস্পতিবার নয়—মঙ্গলবার ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মোদী (PM Modi)। পরিকল্পনায় দুই দিনের ওই সফরে তিনি সেখানে রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের জন্মদিনে যোগ দেবেন, একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন ও কিছু বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করবেন। কিন্তু দিল্লিতে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের খবর নেয়ার পরে স্তব্ধ মনেই তিনি বিদেশি সফরে যান—এবং সেখানেই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে দেশের নাগরিকদের কষ্টের কথাও তুলে ধরেন (Pm Modi)। তার ভাষায়, “এই ঘটনা আমাকে ভিতর থেকে ভেঙেছে। যারা নিজেদের প্রিয় মানুষদের হারিয়েছেন, তাদের কষ্ট আমি বুঝি।”
ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ সে বিষয়ে তদন্ত চলছে; সে অনুযায়ী আত্মঘাতী হামলা নাকি অন্য কোনও ষড়যন্ত্র— কোনো দাবি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বলেন, “কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করা হবে না।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়, এনআইএ ও দিল্লি পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে জোর দিচ্ছে, আর একই সঙ্গে ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ও স্থানীয় গ্রেফতারের ঘটনার সম্ভাব্য সংযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোদী বলেন, তিনি প্রতিটি মুহূর্তে ঘটনার আপডেট পাচ্ছেন এবং তদন্তকারীরা নেপথ্যে থাকা মাথাদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবেন। দিল্লির সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সন্দেহভাজনদের জেরা, আর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির মধ্য দিয়ে গোছা হচ্ছে ঘটনার পূর্ণ চিত্র। সেই একই ক্লান্ত-অতন্বিত সময়ে রাষ্ট্র প্রধান বিদেশি মঞ্চ থেকে জানান—দেশের নিরাপত্তা ও তদন্ত পুরোপুরি জোরালোভাবে এগোবে।











