Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • দিল্লি লালকেল্লা বিস্ফোরণ, ফরিদাবাদে ‘বোমা ল্যাব’, ডাক্তারদের মগজধোলাইয়ের জাল ফাঁস করল পুলিশ
দেশ

দিল্লি লালকেল্লা বিস্ফোরণ, ফরিদাবাদে ‘বোমা ল্যাব’, ডাক্তারদের মগজধোলাইয়ের জাল ফাঁস করল পুলিশ

delhi blastaaa
Email :7

দিল্লির বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে সোমবারের লালকেল্লা বিস্ফোরণ (Delhi Blast)। বিকেল ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ রেড ফোর্ট মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর সামনে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে এক সাদা রঙের গাড়িতে। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা গাড়িটিকে গ্রাস করে (Delhi Blast)। আশপাশের কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মৃত্যু হয় অন্তত আটজনের, আহত চব্বিশ। রাজধানীর রাস্তায় সৃষ্টি হয় চরম আতঙ্ক।

তবে বিস্ফোরণের পিছনের চিত্র আরও ভয়ানক। তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ আবিষ্কার করেছে এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি চক্রের হদিশ (Delhi Blast), যার সঙ্গে পাকিস্তান-ভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ (AGUH)-এর যোগ মিলেছে। এই চক্রে ছিলেন চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ইমাম—অর্থাৎ তথাকথিত ‘শিক্ষিত সমাজের’ এক অংশ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল নাশকতা তৈরিতে (Delhi Blast)।

ফরিদাবাদের এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক, ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একে-৪৭ রাইফেল, ৮৩ রাউন্ড গুলি ও একাধিক ম্যাগাজিন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ মুজাম্মিল শাকিল ও চিকিৎসক আদিল আহমদ রাঠার, যাদের আগে জইশের প্রচারসামগ্রী ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। লখনউয়ের মহিলা চিকিৎসক ডঃ শাহিন শাহিদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ, কারণ তাঁর গাড়িতেই পাওয়া গেছে সেই একে-৪৭ রাইফেল।

পুলিশের দাবি, এই ‘হোয়াইট কলার টেরর নেটওয়ার্ক’ দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে ভয় ছড়াতে চেয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল শতাধিক আইইডি (IED) তৈরি করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার। জঙ্গিরা এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে পাকিস্তান-ভিত্তিক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করত ‘চ্যারিটি ফান্ড’ ও একাডেমিক প্রকল্পের নামে।

এই ঘটনার পরই দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতায় জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরেও চলছে নজরদারি। দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, “এই বিস্ফোরণ ছিল দেশের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হামলা। একাধিক রাজ্যে গোপন অভিযান চলছে। ধৃতদের জেরা করে বড় জঙ্গি চক্রের হদিশ মিলছে।”

সূত্রের দাবি, এই চক্রটি গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘দিল্লিকে কাঁপানো’। পুলিশের হাতে থাকা ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, বিস্ফোরণটি হয়েছিল গাড়ির পেছনের দিক থেকে, সম্ভবত রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে। মৃতদের শরীরে শার্পনেলের আঘাত না থাকায় প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি উচ্চ ক্ষমতার রাসায়নিক বিস্ফোরণ ছিল, সামরিক বিস্ফোরক নয়।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। জঙ্গি চক্রের সঙ্গে পাকিস্তান-যোগের দিকেই এখন নজর গোয়েন্দাদের। এই ঘটনার পর গোটা উত্তর ভারতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “এবারের টার্গেট ছিল দিল্লি, কিন্তু বার্তা গোটা দেশকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts