দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নতুন মোড় (Delhi Blast)— তদন্তে উঠে এল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা যোগ। যে হুন্ডাই i20 গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেই গাড়ির সূত্র ধরেই একের পর এক তথ্যের জট খুলছে তদন্তকারীদের হাতে। সূত্রের খবর, গাড়িটি প্রথমে গুরগাঁওয়ে রেজিস্ট্রার্ড ছিল (HR26 নম্বর)। মালিক মোহাম্মদ সালমান জানিয়েছেন, তিনি গাড়িটি গত বছর দিল্লির ওখলার এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছিলেন। পরে সেই গাড়ি পৌঁছে যায় পুলওয়ামার শম্ভুরা গ্রামের এক বাসিন্দা তারিকের হাতে (Delhi Blast)।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরিত গাড়িটি কোনওভাবে আবার দিল্লিতে (Delhi Blast) ফিরে আসে। কীভাবে এবং কার মাধ্যমে সেই গাড়ি রাজধানীতে পৌঁছল, তা নিয়েই এখন ধন্দে তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ কাশ্মীরে বিশেষ দল পাঠিয়েছে, তারিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে শম্ভুরা গ্রামে (Delhi Blast)। গুরগাঁও পুলিশের তরফে মোহাম্মদ সালমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রাথমিক ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, বিস্ফোরণের উৎস ছিল গাড়ির পেছনের দিক (Delhi Blast)। মাটিতে কোনও গর্ত বা ধাতব ছিটে পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে বোঝা যাচ্ছে এটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক নয়, বরং মাঝারি মাত্রার আগুনধরানো বিস্ফোরণ ছিল। নিহতদের শরীরে নেই ছররা বা শার্পনেলের ক্ষত, বরং রয়েছে দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘিরে গোটা দিল্লিতে জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা, এবং এনআইএ ও এনএসজি যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে ইঙ্গিত, গাড়ির কাশ্মীর যোগ শুধু লেনদেনের ঘটনা নয়— এর পিছনে বৃহত্তর জঙ্গি নেটওয়ার্কের সূত্রও থাকতে পারে(Delhi Blast)। একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন খতিয়ে দেখছে, দিল্লি বিস্ফোরণ কোনও বড় জঙ্গি সংগঠনের ট্রায়াল রান কি না।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার নাম উঠতেই দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ ২০১৯ সালের ভয়াবহ পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার স্মৃতি এখনও তাজা ভারতের মনে।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “প্রত্যেকটি সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি বিক্রির চেইন ভাঙা আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও স্লিপার সেল যুক্ত কি না, তাও যাচাই করা হচ্ছে।”
রাজধানীজুড়ে এখন বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। রেলস্টেশন, বিমানবন্দর ও বাজার এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। দেশজুড়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রস্তুত। লালকেল্লার বিস্ফোরণ ঘিরে এখন শুধু একটাই প্রশ্ন— এ কি কাকতালীয় বিস্ফোরণ, না কি বড় কোনও জঙ্গি পরিকল্পনার সূচনা?










