দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi Blast) রেশে কেঁপে উঠেছে গোটা উত্তরপ্রদেশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দিল্লি ধাঁচে হামলা হতে পারে অযোধ্যার রামমন্দিরেও। সোমবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে গোটা রাজ্যে জারি করা হয় লাল সতর্কতা (Delhi Blast) । অযোধ্যার রামমন্দিরকে ঘিরে টহলদারি শুরু করেছে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। মথুরা, বারাণসী, প্রয়াগরাজ ও লখনউতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও প্যারামিলিটারি ফোর্স।
মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ও দপ্তরের চারপাশেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা (Delhi Blast) । প্রশাসনের শীর্ষ সূত্রের খবর, দিল্লির বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজনরা উত্তরপ্রদেশ হয়ে নেপালে পালাতে পারে— এমন তথ্য হাতে আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ-নেপাল সীমান্ত (Delhi Blast) । একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। অযোধ্যার রামমন্দিরের আশপাশে লাগানো হয়েছে নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা, চলছে লাগাতার নজরদারি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার কিছু পরে লালকেল্লা মেট্রোর গেটের সামনে তিনটি গাড়িতে পরপর বিস্ফোরণ হয় (Delhi Blast) । মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর, বহু আহত। ঘটনাস্থলের পাশেই ছিল জৈন মন্দির ও উমাশঙ্কর মন্দির, যেগুলি হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য হতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।
ঘটনার পরই দিল্লিতে পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে তিনি বলেন, “কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না, তদন্ত দ্রুত চলছে।” ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণস্থলে এনআইএ ও এনএসজি-র আধিকারিকরা পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে, ফরিদাবাদে সোমবারই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক— যা গোটা ঘটনার রহস্য আরও গভীর করেছে।
রাজনৈতিক মহল ও গোয়েন্দা দপ্তরের ধারণা, দিল্লির এই হামলার সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি চক্রের যোগ থাকতে পারে। তাই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে শুধু অযোধ্যা নয়, দেশের প্রতিটি বড় শহরেই। উত্তরপ্রদেশে এখন একটাই বার্তা— “একটাও ফাঁক রাখা চলবে না।”











