বাংলার রাজনীতিতে ফের আলোচনার ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার ভবানীপুরের নিজের রেসিডেন্ট অফিসে বুথ লেভেল অফিসার (BLO) ফর্ম দিতে এলে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন— যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, তিনি নিজে কোনও এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করবেন না। এই মন্তব্যের পরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক— মুখ্যমন্ত্রী যদি ফর্ম না পূরণ করেন, তবে তাঁর নাম কি ভোটার তালিকায় থাকবে (Mamata Banerjee)?
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ‘চিহ্নিত ভোটার’। প্রধানমন্ত্রী, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং কিছু শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকে এই শ্রেণিতে রাখা হয়। তাঁদের জন্য আলাদা নথি সংরক্ষিত থাকে। ফলে ফর্ম পূরণ না করলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় (Mamata Banerjee)।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফর্ম নিয়েছেন— এই খবর সামনে আসতেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “দায়িত্বপ্রাপ্ত BLO আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন। আমি কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না, যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন।” এই মন্তব্য ঘিরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গন।
মঙ্গলবারই মমতার (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে রেড রোড থেকে ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত ‘এসআইআর আতঙ্ক’-এর প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল হয়েছিল। একদিন পরই মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থানকে অনেকেই রাজনৈতিক বার্তা বলেই দেখছেন। কারণ, তৃণমূলের অভিযোগ— কেন্দ্রের নির্দেশে অনেক বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে। ফলে মমতার এই “ফর্ম না ভরার” সিদ্ধান্ত কার্যত বিরোধী মনোভাবেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কমিশনের মতে, মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ফর্ম না ভরলেও তাঁর নাম তালিকায় থাকবে। কিন্তু মমতার বক্তব্য রাজ্যের কোটি কোটি ভোটারের কাছে এক রাজনৈতিক বার্তা বটে— “যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে, আমি নিজেও ফর্ম পূরণ করব না।”











