বেলাগাম রাজনীতি, দলের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ফের সরব হুমায়ুন কবীর। দল তাঁকে শোকজ করেছিল, তবুও থামেননি। বরং এবার সরাসরি ঘোষণা— ২০ ডিসেম্বরের পর নিজের নতুন দল গঠন করবেন। নিজেই হবেন সেই দলের চেয়ারম্যান। বেলাগাম মন্তব্যে ফের চাপে পড়েছে তৃণমূল। এবার এই বিতর্ক নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও শশী পাঁজার সামনে প্রশ্ন ওঠে হুমায়ুনের দল গঠনের প্রসঙ্গে। সেখানে হেসেই জবাব দেন ব্রাত্য বসু— “তাঁকে অভিনন্দন। পারেন তো করে দেখান।” এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্যেই রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ব্রাত্যের (Bratya Basu) মন্তব্যে স্পষ্ট— তৃণমূল আর হুমায়ুনের ‘বিদ্রোহে’ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না, বরং তাচ্ছিল্যই ঝরে পড়ছে তাঁর কণ্ঠে।
তবে এখানেই থামেননি ব্রাত্য (Bratya Basu)। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং কর্ণাটকের সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরির মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। একদিকে, হিমন্ত নির্দেশ দিয়েছেন ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া এক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার। অন্যদিকে, কাগেরির দাবি— রবীন্দ্রনাথ নাকি ইংরেজদের খুশি করতে ‘জনগণমন’ লিখেছিলেন!
এই দুই মন্তব্যেই ক্ষুব্ধ ব্রাত্য বসু বলেন, “রবীন্দ্রনাথ তাঁর গোটা জীবনে হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের কথা বলেছেন। সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। আর সেই তত্ত্বটাই বিজেপির অপছন্দ। কারণ, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে এই মানবতার ভাবধারা সাংঘর্ষিক।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের নাম বিকৃত করছে। এটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপমান।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একদিকে হুমায়ুন কবীরের ‘নতুন দল’ ঘিরে অস্বস্তি, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের বিতর্কিত মন্তব্য— দুই মোরচাতেই পাল্টা আক্রমণেই নামছে তৃণমূল। ব্রাত্য বসুর কটাক্ষ ও কটূক্তি— দুটিই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, রাজ্য রাজনীতি এখন আরও গরম হতে চলেছে।













