Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ফি বাড়ানোয় বিক্ষোভ, গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা! পাকিস্তানে ছাত্র আন্দোলন রণক্ষেত্রের মুখে
বিদেশ

ফি বাড়ানোয় বিক্ষোভ, গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা! পাকিস্তানে ছাত্র আন্দোলন রণক্ষেত্রের মুখে

pok student
Email :5

পাকিস্তানে ফের অশান্তি। শিক্ষায় সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন দেশের তরুণ প্রজন্ম — Gen Z। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pakistan Protest) মুজাফফরাবাদে ফি বৃদ্ধি ও শিক্ষাব্যবস্থার অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলেও, এখন তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে এক ছাত্র আহত হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি (Pakistan Protest)। পুলিশের উপস্থিতিতেই গুলি চলার অভিযোগ ঘিরে চরম ক্ষোভ ছড়ায় ছাত্রসমাজে।

চলতি নভেম্বরের শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, অতিরিক্ত ফি-র বোঝা কমানো হোক এবং শিক্ষায় স্বচ্ছতা আনা হোক। কিন্তু সেই শান্ত আন্দোলনই মুহূর্তে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র স্লোগান— অগ্নিগর্ভ মুজাফফরাবাদ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনা নামানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায় (Pakistan Protest)। আটক করা হচ্ছে বিক্ষুব্ধদের। তবুও থামছে না আন্দোলন। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিক্ষোভ এখন শুধু কাশ্মীরেই সীমাবদ্ধ নয় — লাহোর, ইসলামাবাদ, করাচি-সহ একাধিক শহরে তা ছড়িয়ে পড়ছে (Pakistan Protest)।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রতি তিন-চার মাস অন্তর লক্ষাধিক টাকা সেমিস্টার ফি আদায় করা হচ্ছে। অথচ শিক্ষার মান নিম্নমুখী। “এ যেন পড়াশোনার নামে শোষণ,” বলছেন বিক্ষোভকারীরা। এবারের আন্দোলনে ইন্টারমিডিয়েট স্তরের পড়ুয়ারাও যোগ দিয়েছেন, যা পাকিস্তানে বিরল।

অবস্থা সামাল দিতে বেসামাল সেহবাজ শরিফ প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেনা টহল জারি রয়েছে, ধরপাকড়ও শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মহলের নজর এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan Protest)। বিশেষজ্ঞদের মতে, “এই বিক্ষোভ কেবল ফি বা শিক্ষার প্রশ্ন নয়, এটা তরুণ প্রজন্মের ক্রোধের প্রতিফলন।” তাঁদের দাবি, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বেকারত্ব, দুর্নীতি— সব মিলিয়ে পাকিস্তানের তরুণরা এখন সরকারের বিরুদ্ধে এক নতুন ‘ডিজিটাল বিপ্লব’ শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই নেপালে Gen Z-র নেতৃত্বে এমনই আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটে। সেই দৃষ্টান্তেই ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান প্রশাসন। সেহবাজ শরিফের সরকার ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা। এখন নিজ দেশের তরুণদের ক্ষোভ সামলানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর সামনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts