জীবিত ভোটারের নাম ডিলিট হওয়া নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ডানকুনিতে (Dankuni)। ডানকুনি পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনী এলাকার ২২৪ নম্বর বুথের বাসিন্দা ছায়া ঘোষ, বয়স ৮৪ বছর। জীবিত, সচল, নিয়মিত ভোটার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নামের পাশে লেখা— “Deleted”।
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল ছায়া ঘোষের (Dankuni)। অথচ ২০২৫ সালে তাঁর নাম মুছে গেল কীভাবে— তা নিয়ে ধন্দে স্থানীয় BLO থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি পর্যন্ত। বিজেপি ও তৃণমূল— দুই শিবিরেই এখন সরগরম এই ঘটনায়।
বিএলএ সৌরভ বাগ বলেন, “ছায়া ঘোষ জীবিত। বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছি, ছবিও তুলেছি। কিন্তু ২০২৫ সালের ভোটার লিস্টে নাম ডিলিটেড। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা উচিত (Dankuni)।”
বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মিত্রের দাবি, “এই ঘটনা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চরম গাফিলতির ফল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় এই ধরনের ভুল হচ্ছে। এবার প্রমাণ মিলল— রাজ্য কমিশন কতটা অযোগ্য।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কবিরুল আলম জানান, “এটা একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। ছায়া ঘোষ শয্যাশায়ী ছিলেন। প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে মৃত বলা হয়েছিল। পরে ভুল বুঝে সংশোধন করা হয়েছে। ছয় নম্বর ফর্ম ফিল আপ করে তাঁর নাম ফের যুক্ত করা হবে।”
রাজ্যজুড়ে এখন প্রশ্ন উঠছে, “জীবিত ভোটারের নাম মুছে গেল কীভাবে?” যদি এটা এক বা দু’জনের ভুল হয়, তবে তা সংশোধনযোগ্য। কিন্তু যদি এমন একাধিক ঘটনা ঘটে, তবে তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠবে রাজ্যের ভোটার তালিকা তৈরি প্রক্রিয়া নিয়ে।
বিজেপির দাবি, “২০২৫ সালের ভোটার তালিকা পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তৈরি। তাই দায় তাঁদেরই। তৃণমূল এখন ভুল ঢাকতে চায়।” অন্যদিকে তৃণমূলের যুক্তি, “এই ঘটনা কেন্দ্রীয় নির্দেশে পরিচালিত প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা তদন্ত করছি।”
জীবিত ভোটারের নাম ডিলিট হওয়ার ঘটনায় এখন তোলপাড় ডানকুনি। প্রশাসন বলছে, এটি ‘হিউম্যান এরর’, কিন্তু বিরোধীরা বলছে, “এটা কোনও ভুল নয়, এটা ভোট ব্যাংক নষ্ট করার পরিকল্পনা।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় এমন ঘটনায় মানুষের মনে তৈরি হচ্ছে নতুন আশঙ্কা— “আগামী নির্বাচনে আমার নামও কি থাকবে?”













