কলকাতার সকাল মানেই শান্ত শহর, ব্যস্ততার প্রস্তুতি। সেই সকালেই গুলির শব্দে থমকে গেল দক্ষিণ কলকাতা (Haridevpur Shooting)। হরিদেবপুর থানার ১২৩ নং কালীপদ মুখোপাধ্যায় রোডে সোমবার ভোরে ঘটল দুঃসাহসিক হামলা। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুই দুষ্কৃতী (Haridevpur Shooting)। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়, চিৎকার আর হাহাকার ভরিয়ে দিল অলিগলি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলার নাম মৌসুমী হালদার, বয়স ৩৭। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাইকে চেপে আসে দুই দুষ্কৃতী (Haridevpur Shooting)। কোনও কথা না বলেই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। গুলি গিয়ে লাগে মহিলার পিঠে। মুহূর্তে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা দৌড়ে এসে উদ্ধার করেন (Haridevpur Shooting)। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় এসএসকেএমে। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
কেন এই হামলা? তার উত্তর এখনও অজানা। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি প্রতিশোধমূলক হামলা। পরিবারের দাবি, বাবলু নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলাকে বিরক্ত করত। সেই সূত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই হামলা বলে ধারণা। ইতিমধ্যেই সেই বাবলুকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে দুষ্কৃতীদের চক্র সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে (Haridevpur Shooting)।
এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সাতসকালে ব্যস্ত রাস্তা, তার মাঝেই গুলি— শান্ত শহরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন মহিলা। চোখের সামনে গুলি চলে গেল। ভাবিনি আমাদের পাড়ায় এমন দৃশ্য দেখতে হবে।”
এই মুহূর্তে এলাকায় টহলদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। হামলায় ব্যবহৃত বন্দুক আগ্নেয়াস্ত্র নাকি এয়ারগান, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন। তবে সকালের এমন ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে।
কলকাতার রাস্তায় দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই গুলির শব্দ— সারা শহরে এখন একটাই প্রশ্ন, “আর কতটা নিরাপদ কলকাতা?”








