বাংলার রাজনীতি ফের তেতে উঠল ভোটার তালিকা নিয়ে। নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর ঘোষণা করেছে। ১২টি রাজ্যে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন ব্লো-রা, আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এই আবহেই বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হুঁশিয়ারি ছুঁড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আজও বলছি— পালাও। হাতে এখনও সময় আছে। ৪ তারিখের আগে চলে যাও। বাড়ি বাড়ি ফর্ম গেলে, যাদের নাম থাকবে না, তাদের বিএসএফ ডিপোর্ট করবে। রাজ্য পুলিশও বাঁচাতে পারবে না। যে রাস্তা দিয়ে ঢুকেছ, সেই রাস্তা দিয়ে ভোর হওয়ার আগেই ফিরে যাও।” এরপরই তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য, “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে দিয়েছে। তাই সাপ বেরচ্ছে।” দাবি তুলেছেন (Suvendu Adhikari), সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ফাঁকা হচ্ছে, নিউটাউনে কাজের লোকও কমে গিয়েছে— কারণ অনেক বাংলাদেশি পালাচ্ছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এমন আক্রমণ। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে ২০-২৫ শতাংশ বেআইনি বাংলাদেশি পালিয়েছে। বক্তব্য রাখার মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ চড়ে যায়।
তবে শুভেন্দুর মন্তব্যে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যদি সত্যিই এত বাংলাদেশি ঢুকছে, তাহলে ঢোকার সময় বিএসএফ আঙুল চুষছিল? ঢুকতে দিল কেন?” তিনি ইঙ্গিত দেন, এই মন্তব্য রাজনৈতিক ভয় দেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই বাংলায় ‘বাংলাদেশি ইস্যু’ ফের উসকে দিয়েছে বিরোধী শিবির। শুভেন্দুর এই মন্তব্য স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন আরও বেশি উত্তপ্ত হতে চলেছে। অন্যদিকে শাসকদলও সরাসরি প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। ফলে প্রশাসনিক অভিযানকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও গভীর হচ্ছে।













