আমেরিকার রাজনীতিতে ফের ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক। উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স (JD Vance) তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্সের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বক্তব্য রাখতেই শুরু হয়েছে হইচই। এক বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানেই ভ্যান্স (JD Vance) বলেছিলেন, তিনি চান তাঁর স্ত্রী ভবিষ্যতে কোনও দিন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করুন। সেই মন্তব্য ভাইরাল হতেই নেট দুনিয়ায় তাঁকে নিশানা করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং জন্মসূত্রে হিন্দু। তিনি প্রায়ই স্বামীর (JD Vance) সঙ্গে গির্জায় যান। তাঁদের দুই সন্তান খ্রিস্টান হিসেবে বড় হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই ভ্যান্স বলেন, “উষা যদি জীবনের কোনও সময়ে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী হন, সেটা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত হবে। আমি চাই তিনি আমার বিশ্বাস ভাগ করে নিন, তবে এটা ব্যক্তিগত বিষয়।”
বিতর্ক বাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে সমালোচকদের একহাত নিলেন ভ্যান্স (JD Vance)। লিখলেন, “আমার স্ত্রী হিন্দু। তাঁর ধর্ম বদলানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। আমি শুধু বলেছি, স্বামী হিসেবে চাই আমার বিশ্বাসের অভিজ্ঞতা হয়তো একদিন তিনিও অনুভব করবেন। তাতে অপমান কোথায়?”
তিনি (JD Vance) আরও অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে এবং খ্রিস্টান বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত তৈরি হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এটা অ্যান্টি-ক্রিশ্চিয়ান মানসিকতা। আমাদের বিশ্বাস অন্যের সঙ্গে ভাগ করতে চাইলে দোষ কোথায়?”
ভ্যান্স (JD Vance) জানান, বহু বছর আগে উষাই তাঁকে তাঁর ধর্মবিশ্বাসের পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন। “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ উষা। তিনিই আমাকে আস্থায় ফিরতে সাহায্য করেছিলেন,” বলেন উপ-রাষ্ট্রপতি।
মার্কিন রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই মিশ্র ধর্মবিশ্বাসের দম্পতিদের প্রশ্ন বারবার ওঠে। কিন্তু ভ্যান্সের মতে, “আমি জনজীবনের ব্যক্তি, তাই প্রশ্ন এড়াতে পারি না। তবু পরিবার আমার ভালোবাসার জায়গা—তর্কের নয়।”
ধর্ম ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে এই মন্তব্য ঘিরে এখন উত্তাপ চরমে উঠেছে ওয়াশিংটনে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনা আমেরিকায় ধর্ম–রাজনীতি বিতর্ককে আরও উসকে দিল।








