ইউরোপের মাটিতে বসে ভারতীয় সাহিল চৌধুরী যেন এক পোস্টেই গোটা ইন্টারনেট কাঁপিয়ে দিলেন (Germany vs India)। ফ্রাঙ্কফুর্টে কর্মরত সাহিলের একটি লিংকডইন পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি তুলনা করেছেন ভারতের বিদ্যুৎগতির ডেলিভারি সার্ভিসের সঙ্গে জার্মানির মন্থর ব্যবস্থাকে (Germany vs India)।
সাহিল লিখেছেন, “জার্মানি: তোমার প্রোটিন পৌঁছবে ৫ ব্যবসায়িক দিনে (Germany vs India)। ভারত: তোমার আইফোন পৌঁছে যাবে ১০ মিনিটে!” — এই এক লাইনেই ছড়িয়ে পড়ে ঝড়।
তিনি জানিয়েছেন, জার্মানিতে ডেলিভারি শুধুই অফিস আওয়ারে হয়, সপ্তাহান্তে সব বন্ধ, রিটার্ন প্রক্রিয়া জটিল (Germany vs India)। বিপরীতে, ভারতের অনলাইন ডেলিভারি সিস্টেম কাজ করে ‘ক্যাফিনে ভর করে’। “প্রতি ৫০০ মিটারে একটা ডার্ক স্টোর, হাজার হাজার রাইডার ট্র্যাফিক কেটে যাচ্ছে, আর ডেলিভারির ETA পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মও হার মানায়,” লিখেছেন সাহিল।
তাঁর মতে, এই দ্রুতগতিই ভারতীয় অর্থনীতিকে রীতিমতো চাঙ্গা (Germany vs India) করেছে। “এই গতি এমন এক শক্তি, যা নীতিনির্ধারকরা কখনও তৈরি করতে পারেননি। এটা চাহিদা বাড়িয়েছে, তরলতা এনেছে, লাখো মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে।”
তবে তিনি স্বীকার করেছেন, এই গতির একটা মূল্যও (Germany vs India) আছে। “এই গতির দাম দিচ্ছেন সেই মানুষগুলো, যারা দিনরাত ডেলিভারি করছেন — কম মজুরি, বেশি সময়, দূষণের বোঝা, ক্লান্তি। ভারত আজ এক অনন্য উদ্ভাবন করেছে, কিন্তু তার মানবিক মূল্য কম নয়।”
জার্মান সহকর্মীদের প্রতিক্রিয়া? সাহিল লেখেন, “যখন আমি জার্মানদের বলি ভারতে ১০ মিনিটে ডেলিভারি হয়, তারা বিশ্বাসই করতে পারে না। তাদের মনে হয় আমি যেন টেলিপোর্টেশনের গল্প বলছি! এমন সময়, ভারত যেন ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড’-এর চেয়েও এগিয়ে।”
লিংকডইনে সাহিলের পোস্টে হাজার হাজার মন্তব্য। কেউ প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, কেউ বলেছেন “ভারত শ্রমিককে ‘রিপ্লেসেবল’ ভাবে দেখে, আর ইউরোপ শ্রমিককে ‘মূল্যবান সম্পদ’ ভাবে।”
একজন ব্যবহারকারী(Germany vs India) লিখেছেন, “ভারতে এখন বাইক চালিয়ে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করছেন ডেলিভারি বয়রা, আগে যাঁরা ১২ হাজারও পেতেন না।” আবার আরেকজনের বক্তব্য, “এটাই ভুল অগ্রাধিকার — ১০ মিনিটে জিনিস পাওয়ার তাগিদে আমরা মানুষের সংযোগ হারাচ্ছি।”
সাহিলের পোস্ট এক কথায় গ্লোবাল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ দেখছেন ভারতের সাফল্যের গল্প, কেউ বলছেন শ্রমিকের ‘অদৃশ্য ত্যাগ’-এর ইতিহাস।
তবে একথা অস্বীকার করা যায় না — ভারতের গতি আজ গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।







