Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ঝড়ের দাপটে তছনছ বাংলা! মেদিনীপুরে তোরণ ভাঙল, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ ধসে আহত বহু, আতঙ্কে মানুষ
জেলা

ঝড়ের দাপটে তছনছ বাংলা! মেদিনীপুরে তোরণ ভাঙল, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ ধসে আহত বহু, আতঙ্কে মানুষ

montha cyclone
Email :3

বাংলার আকাশে ফের কালো ছায়া। মন্থার (Montha Cyclone) প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই রাজ্যের উপকূল জেলাগুলিতে শুরু হয় বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে (Montha Cyclone) পশ্চিমবঙ্গ পুরোপুরি রেহাই পাবে না। ঠিক তাই-ই হল। বিকেলের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। কোলাঘাট, দেউলিয়া, পাঁশকুড়া, মেচেদা ও তমলুকসহ একাধিক এলাকায় শুরু হয় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগের ঝোড়ো হাওয়ার দাপট।

হঠাৎ সেই দমকা হাওয়ার জেরে বিপত্তি ঘটে তমলুকের মেলাহাইত গ্রামে (Montha Cyclone) । তমলুক–পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের উপরে তৈরি হওয়া এক মেলার বাঁশের তোরণ মুহূর্তে ভেঙে পড়ে (Montha Cyclone) । স্থানীয়রা জানান, “হাওয়াটা যেন একেবারে ঝড়ে পরিণত হয়েছিল। তার ধাক্কাতেই তোরণটা ধসে যায়।” সেই তোরণ ভাঙার পর রাজ্য সড়কে তৈরি হয় ব্যাপক যানজট। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেলার আশপাশে থাকা অস্থায়ী দোকানগুলিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সৌভাগ্যবশত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও এলাকায় ছড়ায় প্রবল উত্তেজনা (Montha Cyclone) ।

তবে এখানেই শেষ নয়। মন্থার প্রভাবে তাণ্ডব নেমে আসে হুগলির চন্দননগরেও (Montha Cyclone) । কানাইলাল পল্লীর জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশাল ৭০ ফুট উঁচু মণ্ডপ আচমকাই হালকা হাওয়াতেই ভেঙে পড়ে। মণ্ডপের ভিতরে থাকা বিশাল প্রতিমাও উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। আহত হন একাধিক দর্শনার্থী ও ক্লাব সদস্য। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চলছে চিকিৎসা। দুর্ঘটনার পরেই পুজোর আনন্দে নেমে আসে বিষাদের ছায়া। ক্লাব সদস্যদের চোখে শুধু হতাশা আর উদ্বেগ— “এমনটা কখনও ভাবিনি,” বলেন এক সদস্য।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত উপকূলবর্তী জেলা— পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্যও। সমুদ্রে না নামার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই একদিকে যখন মন্দিরে ঘণ্টা বাজছে, অন্যদিকে মন্থার ঝোড়ো হাওয়ায় কাঁপছে বাংলা। বৃষ্টির দমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ভাঙাচোরা গাছের ডাল আর ভিজে পথ— যেন ঘূর্ণিঝড়ের রাতের এক বাস্তব চিত্র।

আবহাওয়াবিদদের মতে, মন্থার প্রভাবে বুধবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির দাপট থাকতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে দুর্বল হবে এই ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনাই বলে দিচ্ছে— প্রাকৃতিক শক্তির সামনে মানুষ আজও অসহায়।

বাংলার মাটি ভিজল, তবে মন ভিজল না। কারণ উৎসবের মুখে এমন তাণ্ডব কে-ই বা চায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts