দীপাবলির দিন, ভারত ও আমেরিকার নেতাদের মধ্যে ফোন কলে (Modi Trump Diwali Call) শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ই হয়নি, সঙ্গে ছিল একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Modi Trump Diwali Call) মনে করিয়ে দেন ভারতের দৃঢ় অবস্থান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
মোদি টুইট করেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনার ফোন কল ও উষ্ণ দীপাবলি শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ (Modi Trump Diwali Call)। এই আলোর উৎসবে, আমাদের দুই মহান গণতন্ত্র বিশ্বের জন্য আশা জ্বালিয়ে দিতে এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একত্রে দাঁড়াতে পারে।” টুইটের দ্বিতীয় অংশে ছিল বিশেষ ইঙ্গিত — সকল রকম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসাথে থাকার বার্তা (Modi Trump Diwali Call) ।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রপৃষ্ঠে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে এবং অভিযোগ করেছে যে, পাকিস্তান জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়। এর মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন একধরনের ‘ইন্ডিয়া-পাকিস্তান হাইফেন’ নীতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে, যা ভারতের জন্য বড়ই অস্বস্তিকর।
ডোনাল্ড ট্রাম্পও (Modi Trump Diwali Call) দীপাবলির অনুষ্ঠানে মিডিয়ার সামনে উল্লেখ করেন, মোদির সঙ্গে “প্রাদেশিক শান্তি ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ না করার” কথাও আলোচনা হয়েছে। তবে ভারত সরকার এই ধরনের কোনো আলোচনার তথ্য প্রকাশ করেনি। মোদির টুইটেও এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত মন্তব্যের প্রবণতা সুপরিচিত। এই পরিস্থিতিতে মোদির বার্তা ছিল স্পষ্ট — পাকিস্তান-provocation এর সামনে ভারত পিছু হটবে না এবং প্রত্যাশা করছে তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান ও মার্কিন সম্পর্কেও বড় পরিবর্তন এসেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে, ট্রাম্পকে শান্তিচিন্তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করা — শেহবাজ শরীফ সরকারের এ সব পদক্ষেপে স্পষ্ট চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন জিততে।
দুই দেশের এই ফোন কলে কেবল শুভেচ্ছা নয়, ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার রাজনৈতিক সংযোগ, পাকিস্তানকে সতর্ক করার হুঁশিয়ারি, এবং সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার প্রয়াস স্পষ্টভাবে দেখা গেল।