Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • হোয়াইট হাউসে চরম অপমান! জ়েলেনস্কির মুখের সামনে মানচিত্র ছুঁড়ে দিলেন ট্রাম্প, চিৎকার-গালিগালাজে উত্তপ্ত বৈঠক
বিদেশ

হোয়াইট হাউসে চরম অপমান! জ়েলেনস্কির মুখের সামনে মানচিত্র ছুঁড়ে দিলেন ট্রাম্প, চিৎকার-গালিগালাজে উত্তপ্ত বৈঠক

trump ukraine president
Email :3

যুদ্ধ থামানোর মধ্যস্থতা নয়, বরং অপমানের সাক্ষী হল হোয়াইট হাউস (Trump Zelensky Meeting)। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে শান্তি আলোচনার নামে ডেকে এনে প্রকাশ্যেই অপমান করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প — এমনটাই দাবি ফিনান্সিয়াল টাইমসের বিস্ফোরক রিপোর্টে (Trump Zelensky Meeting)।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা (Trump Zelensky Meeting)। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেটি পরিণত হয় রাগ, চিৎকার ও অপমানের এক তীব্র লড়াইয়ে। ট্রাম্প নাকি জ়েলেনস্কিকে বারবার গালিগালাজ করতে থাকেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলের হাতে থাকা যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র দেখতে অস্বীকার করেন তিনি। এমনকী রাগের মাথায় সেই মানচিত্রই ছুঁড়ে দেন জ়েলেনস্কির দিকে (Trump Zelensky Meeting)।

ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন যেন ডনবাস অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়। তিনি নাকি বলেন, “তুমি যদি এখনই ডনবাস ছেড়ে দাও, তাহলে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।” জ়েলেনস্কি আপত্তি জানালে, ট্রাম্প আরও চটে গিয়ে বলেন, “পুতিন চাইলে তোমাদের (Trump Zelensky Meeting) ধ্বংস করে দেবে!”

এর আগেই আমেরিকা ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ মিসাইল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প সেই প্রতিশ্রুতি ফিরিয়ে নেন। এতে রাগ ছড়িয়েছে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন— দুই পক্ষেই।

ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের বক্তব্য, ট্রাম্প এখন আর রাশিয়ার আগ্রাসনকে ‘যুদ্ধ’ বলতে চান না, বরং তাঁকে উদ্ধৃত করে তাঁরা জানান— ট্রাম্প বলছেন, “ওটা বিশেষ সামরিক অভিযান।” যা রাশিয়ার সরকারি অবস্থানেরই প্রতিধ্বনি।

বৈঠকের সময় ট্রাম্প নাকি রাগে বলেন, “আমি এই মানচিত্র দেখতে দেখতে ক্লান্ত।” তারপরই টেবিলে থাকা ইউক্রেনের যুদ্ধ মানচিত্র ছুঁড়ে দেন জ়েলেনস্কির দিকে। বিস্মিত জ়েলেনস্কি নাকি কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ হয়ে যান, তারপরও ধৈর্য ধরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে থাকেন।

এতদিন ট্রাম্প দাবি করে এসেছিলেন, রাশিয়ার অর্থনীতি নাকি ভেঙে পড়ছে। কিন্তু এই বৈঠকেই তাঁর অবস্থান সম্পূর্ণ ঘুরে যায়। তিনি বলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতি এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছে।”

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। কূটনীতিক মহলের মতে, “যে আলোচনাকে সবাই যুদ্ধবিরতির আশার আলো হিসেবে দেখছিল, তা এখন কূটনৈতিক অপমানের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।”

যদিও হোয়াইট হাউস বা জ়েলেনস্কির অফিস, কেউই এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে চাচ্ছেন। কিন্তু পুতিন ইতিমধ্যেই শর্ত দিয়েছেন— ইউক্রেনের ডনবাস রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। বদলে রাশিয়া দক্ষিণ খেরোসন ও জ়াপোরিজ়িয়ার কিছু অংশ ফেরত দিতে রাজি।

তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা রাশিয়ার দখল নেওয়া কোনও অঞ্চলই ছাড়ব না।”

এখন প্রশ্ন একটাই— এই বৈঠকের পর ইউক্রেন-আমেরিকা সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে কি না, আর ট্রাম্পের এই আচরণ কি সত্যিই পুতিনের জন্য অঘোষিত সুবিধা তৈরি করছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts