Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ট্রাম্পের ‘ড্রাগ সাবমেরিন’ অভিযান! ফেন্টানিলে ভরা নৌযান উড়িয়ে দিল মার্কিন সেনা
বিদেশ

ট্রাম্পের ‘ড্রাগ সাবমেরিন’ অভিযান! ফেন্টানিলে ভরা নৌযান উড়িয়ে দিল মার্কিন সেনা

donald trump smile
Email :2

ক্যারিবিয়ান সাগরে নাটকীয় অভিযান! মার্কিন সেনাবাহিনী ধ্বংস করল (US Navy Attack) একটি ড্রাগে ভরা সাবমেরিন, যা আমেরিকার উপকূলের দিকে যাচ্ছিল। শনিবার (স্থানীয় সময়) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ লিখেছেন, “আমার গর্ব যে, মার্কিন বাহিনী সফলভাবে ধ্বংস করেছে এক বিশাল মাদকবাহী সাবমেরিন, যা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসছিল।”

ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, ওই সাবমেরিনটিতে প্রচুর ফেন্টানিল ও অন্যান্য অবৈধ মাদক বোঝাই ছিল (US Navy Attack) । তিনি বলেছেন, “এই সাবমেরিন যদি আমেরিকার উপকূলে পৌঁছত, অন্তত ২৫,০০০ আমেরিকান মারা যেত।”

ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, “দুই সন্ত্রাসী নিহত (US Navy Attack) হয়েছে, আর দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার নাগরিক। আমরা তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠাচ্ছি বিচার ও জেরার জন্য।”

পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা-কালো ফুটেজে সমুদ্রের ঢেউয়ের মধ্যে আধা-ডুবে থাকা সাবমেরিনটি ধীরে চলছিল (US Navy Attack) । কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। একাধিক বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যেই সাবমেরিনটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, অভিযানে কোনও মার্কিন সেনা হতাহত হননি। তিনি বলেছেন, “আমার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র মাদকসন্ত্রাসীদের কোনওভাবেই সহ্য করবে না—স্থলপথে হোক বা সমুদ্রপথে।”

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ওই আক্রমণটি চালানো হয়েছিল। তখন সাবমেরিনে থাকা দু’জন নিহত হয়, বাকিরা বেঁচে গিয়েছিল। পরে মার্কিন নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার তাদের উদ্ধার করে যুদ্ধজাহাজে নিয়ে যায়।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো পরে এক্স (X)-এ লিখেছেন, “আমরা খুশি যে আমাদের নাগরিক জীবিত আছেন। আইনের অধীনে তাঁর বিচার হবে।” তবে ইকুয়েডরের সরকার জানিয়েছে, তারা এখনো বন্দির প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত তথ্য জানে না।

এখন পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর এই ধরনের অভিযানে মোট ২৯ জন সন্দেহভাজন পাচারকারী মারা গিয়েছেন, যার মধ্যে ২৭ জনই সেপ্টেম্বর থেকে হওয়া আগের আক্রমণে নিহত। ট্রাম্প বলছেন, “আমরা মাদক কার্টেলগুলির সঙ্গে এক রকমের যুদ্ধ করছি। তারা শত্রু যোদ্ধা—এবং আমরা তাদের সেভাবেই দেখছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আগের মতোই ‘ওয়ার অন টেরর’-এর আইনগত ক্ষমতা ব্যবহার করছে, যা জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে ৯/১১-র পর প্রয়োগ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র কার্টেল নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা ও আটক অভিযান চালাতে পারে।

তবে এই অভিযান ঘিরে বিতর্কও কম নয়। আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন, মার্কিন সেনার এই হামলাগুলি কতটা বৈধ? এরই মধ্যে ক্যারিবিয়ানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে, যেখানে রয়েছে F-35 যুদ্ধবিমান, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং প্রায় ৬,৫০০ সৈন্য।

ট্রাম্প আবারও স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমেরিকা মাদকসন্ত্রাসীদের বরদাস্ত করবে না। আমরা প্রতিটি নৌপথে তাদের থামাব।”

এটি সেপ্টেম্বরের পর থেকে ষষ্ঠবার মার্কিন বাহিনী কোনো ড্রাগবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করল। পেন্টাগনের মতে, সর্বশেষ সাবমেরিনটি ফেন্টানিল এবং অন্যান্য মাদকে পরিপূর্ণ ছিল—যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ছিল এক বড় হুমকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts