Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Dhaka Airport Fire: আগুনে কেঁপে উঠল ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর, আহত ৩৫! ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিল ইউনূস সরকার
বিদেশ

Dhaka Airport Fire: আগুনে কেঁপে উঠল ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর, আহত ৩৫! ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিল ইউনূস সরকার

dhaka airport fire
Email :1

ঢাকার আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, আগুনে লাল হয়ে উঠল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Dhaka Airport Fire)। শনিবার বিকেলে আচমকাই আগুন লাগে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় যাত্রী ও কর্মীরা। আগুন নেভাতে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে (Dhaka Airport Fire)। ৩৭টি ইঞ্জিনের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও, আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন মোট ৩৫ জন, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন দমকল কর্মী।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন (Dhaka Airport Fire) নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর পিছনে নাশকতা বা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তিনি বলেছেন, “দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের (Dhaka Airport Fire) খবর আসছে। জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করছি, প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।”

ইউনূস আরও বলেন, “যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে, তাহলে দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না (Dhaka Airport Fire)। যদি লক্ষ্য থাকে ভয় ছড়ানো, তাহলে তারা সফল হবে শুধুমাত্র তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনাবোধের উপরে স্থান দেব।”

শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায়, যা পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝখানে অবস্থিত। এখানেই পণ্য আমদানি-রপ্তানির কাজ হত। আগুন লাগার পরই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। দ্রুতই বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হয়।

আগুন নেভাতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগুনের উৎস কী ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগুন লাগার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিক গুদামে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এর দু’দিন পর, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি কারখানায় ফের আগুন লাগে। এই টানা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারি সূত্রে খবর, শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনের ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। সন্দেহজনক গতিবিধির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসন আশঙ্কা করছে, ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে বৃহত্তর নাশকতা চক্র সক্রিয় থাকতে পারে।

এই ভয়াবহ ঘটনার পর বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ চলছে এবং যাত্রী পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে সচল রাখতে জরুরি মেরামতির কাজ চলছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, “এই আগুন শুধুমাত্র একটি বিল্ডিং পুড়িয়েছে না, এটি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আঘাত। তাই তদন্তে আমরা কোনও ছাড় দেব না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts