Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • শিশুমৃত্যুর পর হাসপাতালের সামনে উত্তেজনা, থানার দূরত্ব মাত্র ২ কিমি— রাস্তায় ফেলে পেটানো হল পুলিশ কর্মীকে!
জেলা

শিশুমৃত্যুর পর হাসপাতালের সামনে উত্তেজনা, থানার দূরত্ব মাত্র ২ কিমি— রাস্তায় ফেলে পেটানো হল পুলিশ কর্মীকে!

Egara police attack
Email :3

মঙ্গলবার সকালেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মহকুমা হাসপাতালের চত্বর (Eagra Police Attack)। শিশুমৃত্যু ঘিরে ফেটে পড়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ। হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সকাল থেকেই বিক্ষোভে সরব হয় মৃত শিশুর পরিবার। অভিযোগ, ভোরবেলায় অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা গুরুত্ব দেননি। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাদের একরত্তির (Egara Police Attack)।

চোখের সামনে শিশুর মৃত্যু— আর তাতেই মুহূর্তে উসকে ওঠে জনরোষ। হাসপাতালের সামনে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রথমে স্লোগান, পরে তা রূপ নেয় তীব্র সংঘর্ষে। ক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের উপর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে এগরা থানার পুলিশ (Egara Police Attack)।

কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। থানার দূরত্ব হাসপাতাল থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার। পুলিশ পৌঁছতেই বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ উগরে দেয় তাঁদের উপরই (Egara Police Attack)। এক পুলিশ কর্মী যখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রথমে উর্দি ধরে টানাটানি, তারপর একের পর এক থাপ্পড়। মুহূর্তে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাঁকে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। চোখের সামনে আইনরক্ষক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় স্তব্ধ স্থানীয়রা।

ঘটনার পর এগরা থানার পুলিশ গিয়ে ওই আহত পুলিশ কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার পরই পলাতক বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে (Egara Police Attack)।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “উর্দি আক্রান্ত হচ্ছে কারণ, পুলিশ নিজেদের সম্মান রাখতে পারছে না। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ শিশুমৃত্যু। এই রাজ্যে মানুষের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার দুই-ই প্রশ্নের মুখে। কীভাবে এমন ঘটল, তার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।”

রাজ্যজুড়ে বারবার পুলিশের উপর জনরোষের এমন ছবি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রশাসনের অন্দরেও। প্রশ্ন উঠছে— কেন রাজ্যের আইনরক্ষকরা বারবার মানুষের রোষের মুখে পড়ছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts