আবারও নতুন সংক্রমণের আতঙ্ক! করোনা মহামারির দুঃসহ স্মৃতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। কিন্তু এবার সেই ভয় ফের ফিরে আসছে অন্য রূপে। চিনের পর এবার জাপান জুড়ে (Japan Epidemic) ছড়াচ্ছে এক অদ্ভুত সংক্রমণ। হঠাৎ করেই দেশজুড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ‘এপিডেমিক’ বা অতিমারি ঘোষণা করেছে (Japan Epidemic)।
রিপোর্ট বলছে, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাপমাত্রা যত নামছে, সংক্রমণ ততই বাড়ছে (Japan Epidemic)। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,০৩০ জনে। অথচ তার আগের সপ্তাহেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৫৭। অর্থাৎ সংক্রমণের হার প্রায় চারগুণ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ২০ বছরে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল, যখন ঋতু পরিবর্তনের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভয়ানকভাবে ছড়াচ্ছে।
জাপানের ৩,০০০ হাসপাতালজুড়ে এখন রোগীর ভিড় (Japan Epidemic)। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে ওকিনাওয়ায়। তার পরেই টোকিয়ো ও কাগোশিমা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রজাতিটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। আক্রান্তদের বড় অংশই বাচ্চা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৩৫টি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও চাইল্ডকেয়ার সেন্টার।
জাপান সরকার জানিয়েছে, সংক্রমণের মাত্রা এখন অতিমারির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জোর দিচ্ছেন সচেতনতা ও টিকাকরণের ওপর। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে— এই ইনফ্লুয়েঞ্জা কি শুধু ঋতুকালীন সংক্রমণ, নাকি এটি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে মহামারির আকার নেবে?
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে এই নতুন সংক্রমণকে ঘিরে। করোনা পরবর্তী সময়েও যেখানে দেশগুলির স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জার এই প্রকোপ আবারও চিন্তার মেঘ জমিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।