৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে রোমহর্ষক দৃশ্য! রবিবার সকালে নাগরাকাটার (Nagrakata) ডায়না ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎই মুখোমুখি হল দু’টি দাঁতাল হাতি। শুরু হল তুমুল লড়াই। মুহূর্তে থমকে গেল রাস্তা, দাঁড়িয়ে পড়ল একের পর এক গাড়ি। পর্যটকরা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করতে শুরু করলেন বিরল সেই দৃশ্য (Nagrakata)। হাতির সংঘর্ষ দেখতে ভিড় বাড়তে থাকায় জাতীয় সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা (Nagrakata) এলাকায় গত সপ্তাহের ভয়াবহ বৃষ্টিতে গ্রাম থেকে বনাঞ্চল—সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরুমারা ও ডায়না অঞ্চলেও প্রবল জল ঢুকেছিল। ফলে অনেক বন্যপ্রাণী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে চলে এসেছে মানুষের বসত এলাকায়। রবিবার সকালে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ২৫টি হাতির একটি দল এসে দাঁড়ায়। সেই দলে ছিল একাধিক শাবকও। হঠাৎই দলের দু’টি দাঁতাল হাতি নিজেদের মধ্যে প্রবল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে (Nagrakata)।
রাস্তার ধারে থেমে থাকা পর্যটকরা সেই দৃশ্য দেখেই হতবাক (Nagrakata)। কেউ কেউ ভিডিও তুলতে শুরু করেন, কেউ আবার গাড়ি থামিয়ে দেখেন কাছ থেকে। এর ফলে মুহূর্তে যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা। তারা দ্রুত এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে এবং বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর হাতির দলটিকে জঙ্গলের ভেতর ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। বনকর্মীরা জানিয়েছে, পুরো দলটির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে যাতে তারা আবারও রাস্তার দিকে না আসে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কয়েক দিন আগেই আলিপুরদুয়ারে দলছুট দুই গন্ডারের মধ্যে লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। বন দফতরের অনুমান, টানা বৃষ্টিতে দিকভ্রান্ত হয়ে বন্যপ্রাণীরা জঙ্গল ছেড়ে বাইরে চলে আসছে। অন্যদিকে, ভুটান থেকে আসা জলস্রোতের কারণে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রাণীর মৃত্যুও ঘটেছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের একটি গন্ডার জলে ডুবে মারা গেছে। একইভাবে শিলিগুড়ির কাছে মেচি নদীতে ডুবে একটি হাতি শাবকের মৃত্যুও ঘটেছে।
পুরো পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে বনদপ্তর। তারা জানিয়েছে, জল নামার সঙ্গে সঙ্গেই বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরানো এবং জনবসতিতে যাতে তারা আর না ঢোকে, তার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।