আফগানিস্তান (Afganistan) ও পাকিস্তানের সীমান্তে ফের ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ! আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, তালেবান নেতৃত্বাধীন বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাধিক পোস্ট দখল করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুনার ও হেলমান্দ প্রদেশের দুরান্দ সীমান্ত এলাকায়, যেখানে দু’পক্ষের মধ্যে প্রবল গোলাগুলি চলছে বলে সরকারি সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আফগান (Afganistan) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্মকর্তার ভাষায়, “তালিস্থানীয় সূত্র TOLOnews-কে জানিয়েছে, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে আরও কয়েকটি এলাকায় — বিশেষ করে পাকতিয়া প্রদেশের আরিউব জাজি, স্পিনা শাগা, গিউই, মানি জাভা এবং সীমান্ত সংলগ্ন অন্যান্য অঞ্চলে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, “পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলি ও সরঞ্জাম আজ রাতের হামলায় ধ্বংস হয়েছে।”
তারা আরও জানায় (Afganistan) , কুনার ও হেলমান্দের প্রতিটি এলাকায় একটি করে সেনা পোস্ট পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, পাশাপাশি তালেবান যোদ্ধারা দখল করেছে পাকিস্তানি অস্ত্র ও যানবাহন।বান বাহিনী কুনার ও হেলমান্দ প্রদেশে দুরান্দ লাইন পেরিয়ে পাকিস্তান সেনার বেশ কয়েকটি পোস্ট দখল করেছে। সংঘর্ষ এখনও চলছে। শাকিজ, বিবি জানি ও সালেহান এলাকায় ভয়াবহ লড়াই চলছে।”
সংঘর্ষের আগুন এখন পাকতিয়া, পাকতিকা, খোস্ত, কুনার, হেলমান্দ ও নানগারহার প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। তবে পাকিস্তানের তরফে এখনও কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি আসেনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে সবচেয়ে তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষ। এটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভয়ানক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা বহুদিন ধরেই সীমান্ত বিরোধ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অভিযোগে জর্জরিত।
একজন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি শুধু সীমান্ত সংঘর্ষ নয়, বরং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার বড় সংকেত। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।”
এদিকে আফগান সেনার ২০১ খালিদ বিন ওয়ালিদ কর্পস জানিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তান কাবুল সংলগ্ন এলাকায় বিমান হামলা চালানোর পর এই “প্রতিশোধমূলক অভিযান” শুরু হয়।