রামপুরহাটে (Rampurhat) এক নাবালিকা ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় প্রথম থেকেই সন্দেহের তির ছিল স্কুলের ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক মনোজ কুমার পালের দিকে। ২৮ অগস্ট শেষবার বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী (Rampurhat) । এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পর স্থানীয়রা (Rampurhat) স্কুল ঘেরাও করেন। পুলিশ আসার আগে জনতার ভিড় থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। কয়েকদিন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও তখন তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে পাঁচ দিনের মাথায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় (Rampurhat) ।
পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মনোজ কুমার পাল রামপুরহাটের এক আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহের কাছে যান। আইনজীবী টিভি৯ বাংলার কাছে জানান, “৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শিক্ষক আমাকে ফোন করেছিলেন। ৮ তারিখে দেখা করতে আসেন। আমি বলেছিলাম কোর্টে আসুন, কিন্তু তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে চেয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি তাকে আশ্বস্ত করার।”
আইনজীবী (Rampurhat) আরও জানিয়েছেন, শিক্ষক বলেছেন, ২৮ অগস্টের দিন নিখোঁজ ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মন ভোলাতে তাকে বাইকে চাপিয়ে ঘুরিয়েছিলেন, বীরচন্দ্রপুরে পুজো করিয়েছেন, তারাপীঠ থেকে জামাকাপড় কিনে দিয়েছেন। রাত হয়েই ছাত্রীকে নিজের বাড়িতেই রেখেছিলেন। পরদিন ছাত্রীকে মুক্তি দেওয়ার আগে দিনভর তাঁর সঙ্গে কাটিয়েছেন ।
আইনজীবী বলেন, শিক্ষক কখনও ‘খুনের’ কথা স্বীকার করেননি। তবে বারংবার একটি প্রশ্ন করতেন, “যদি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়, তাহলে কি ডিএনএ পরীক্ষা করা যাবে?” প্রসঙ্গত, সেই দশেক দিন পরই নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে উদ্ধার করা হয়। এরপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
এই নতুন তথ্য প্রকাশের পর রামপুরহাটে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন, শিক্ষক এতদিন কি লুকিয়েছিলেন সত্যিটা? নিখোঁজ ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য আরও গভীর হয়েছে।