ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ঘিরে শুরু হল বিতর্ক। এবার তাঁকে সরাসরি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বনগাঁয় অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি দাবি করেন—“শ্রীচৈতন্যের উত্তরাধিকারী ছিলেন লালন, লালনের উত্তরাধিকারী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর আজ শ্রীচৈতন্যের উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি যে পথে হাঁটেন, সেই পথে লাখো মানুষ এগিয়ে চলেন।”
প্রসঙ্গত, এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও মমতাকে (Mamata Banerjee) শ্রীচৈতন্যদেবের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর আগে তাঁর অনুগামীরা কখনও মা সারদা, কখনও নেতাজি, কখনও আবার মাদার টেরিজার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ঋতব্রতের নাম।
শনিবার বনগাঁর নীলদর্পণ ভবনের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি প্রতিবাদ সভার। কেন্দ্রের SIR প্রকল্প এবং ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন, অভিযোগ করেন বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন বারবার বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে।
এরই মাঝে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শ্রীচৈতন্যদেব ছিলেন বাংলার প্রথম মিছিলকারি। তিনি জাতপাত-ধর্মের বেড়া ভেঙে লাখো মানুষকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই পথেই চলছেন। তাঁর পথ ধরে লাখো মানুষ এগোচ্ছেন। তাই তিনি শ্রীচৈতন্যের উত্তরাধিকারী।”