Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী-দশমী একদিনেই! মহালয়ার দিনে অনন্য পুজো
জেলা

সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী-দশমী একদিনেই! মহালয়ার দিনে অনন্য পুজো

mahalaya durga puja
Email :3

শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি—মহালয়াতেই দুর্গাপুজো (Mahalaya) শুরু হয়, আবার মহালয়াতেই শেষও হয়ে যায়। আসানসোলের (Mahalaya) বার্নপুরের হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের এই অনন্য রীতি বহু বছর ধরে চলে আসছে। দামোদর নদের তীরে অবস্থিত কালীকৃষ্ণ আশ্রমেই মহালয়ার ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় মহাধুমধামের পুজো। একদিনেই সেরে ফেলা হয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী আর দশমীর পুজো। পুরোহিতরা জানান, প্রতিটি ক্ষণ মেনে একদিনেই সম্পূর্ণ হয় পুজোর নিয়ম। একদিনে(Mahalaya) চার রকম ভোগও নিবেদন করা হয়। দশমীর ঘট বিসর্জন হয়, তবে মাতৃমূর্তি আশ্রমেই থেকে যায়।

এই বিশেষ পুজো শুরু করেছিলেন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সেবাইত জ্যোতিন মহারাজ (Mahalaya)। কথিত আছে, তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, সেই আদেশেই এই পুজোর সূচনা হয়। জ্যোতিন মহারাজ প্রায় দশ বছর আগে প্রয়াত হওয়ার পর গ্রামবাসীরাই দায়িত্ব নিয়েছেন। আজও একই রীতি মেনে চলে এই পুজো, আর মহালয়ার দিনই দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে গোটা ধেনুয়া গ্রাম। তবে আনন্দের মাঝেই থাকে খানিক বিষাদ—কারণ যখন সারা বাংলায় পুজোর অপেক্ষা, তখন একদিনেই এখানকার পুজো শেষ হয়ে যায়।

গ্রামবাসীরা জানান, ১৯৩৭ সালে কালীকৃষ্ণ আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়, আর ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু হয় এই ‘আগমনী দুর্গাপুজো’। প্রথমদিকে দেবীর রূপ ছিল অগ্নিবর্ণা, পরে শুভ্র, আর বর্তমানে বাসন্তী। এখানে দেবী দশভূজা, সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। আগমনী দুর্গার পাশে থাকেন তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া।

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts