যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik) হলফনামায় নতুন করে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আদালতে পেশ করা হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, শুধু মনমোহন সিং সরকারের সময় নয়, বরং অটল বিহারী বাজপেয়ী জমানাতেও তিনি কেন্দ্রের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন (Yasin Malik)।
ইয়াসিন (Yasin Malik) দাবি করেছেন, ২০০০-০১ সালে বাজপেয়ীর সরকারে পাকিস্তানের সঙ্গে রমজান যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সে সময় তিনি দিল্লিতে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ডোভাল তাঁকে তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান শ্যামল দত্ত এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। এছাড়াও, আরকে মিশ্র তাঁর বাড়িতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান এবং ব্রজেশ মিশ্রের সঙ্গে প্রাতঃরাশে বৈঠকের আয়োজন করেন (Yasin Malik)। লালকৃষ্ণ আডবাণীও তাঁর প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেন। সেই সময় তিনি প্রথম পাসপোর্ট পান এবং ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সৌদি আরব ও পাকিস্তান সফরে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পথে সমাধানের বার্তা পৌঁছে দেন।
হলফনামায় আরও দাবি করা হয়েছে, ২০১১ সালে তিনি দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আরএসএস নেতাদের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক করেন। এই বৈঠক আয়োজন করে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ডায়ালগ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন। ইয়াসিন বলেছেন, “দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বদলে খোলাখুলি যোগাযোগ রেখেছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, শ্রীনগরে তাঁর বাড়িতে দুই শঙ্করাচার্যও এসেছিলেন।
এর আগে ইয়াসিনের (Yasin Malik) হলফনামার একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, তিনিই ভারত সরকারের শান্তি বার্তা পাকিস্তানের জঙ্গিনেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন। মনমোহন সিং সরকারের সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও জঙ্গিনেতাদের সঙ্গে ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর স্পেশ্যাল ডিরেক্টর ভিকে জোশীর নির্দেশে পাক জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই হলফনামা প্রকাশের পর নতুন করে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত জল্পনা তুঙ্গে।