পাঁশকুড়া (Panskura) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। হাসপাতালের কর্মীরা জানান, অভিযুক্তের ভয়ে সবাই আতঙ্কে দিন কাটাতেন। কারও কাজ পছন্দ না হলেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হত (Panskura)। অনেক সময় সরাসরি চাকরি খোয়ানোর হুমকিও দেওয়া হত। কর্মীদের দাবি, এরকমভাবে অন্তত ১০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে ছেঁটে ফেলেছেন তিনি (Panskura)।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে আছেন টুম্পা হাঁসদা। তিনি এই হাসপাতালের শুরু থেকেই কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, একবার অসুস্থ হয়ে ছুটি চাইলে অভিযুক্ত তাঁর আবেদনপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেন। শুধু তাই নয়, টুম্পার অভিযোগ, গর্ভধারণ করার পরও তাঁকে শুনতে হয়েছিল অবিশ্বাস্য কথা। অভিযুক্ত নাকি বলেছিলেন—গর্ভধারণ করার জন্যও তাঁর অনুমতি নিতে হবে (Panskura)।
টুম্পা হাঁসদা জানান,“আমি হাসপাতাল শুরু হওয়ার দিন থেকেই এখানে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একদিন বলল, আমার জায়গায় অন্যকে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থ থাকায় ডিউটি করতে পারিনি, তাই আমাকে তাড়িয়ে দিল। এমনকি, সকলের সামনে আমায় অপমান করে বলেছিল—আমি কাকে বলে সন্তান নিয়েছি? মানে, ওর অনুমতি না নিয়ে কেন মা হলাম—এই প্রশ্ন তুলেছিল।”
বর্তমানে অভিযুক্ত আধিকারিক জেলে রয়েছেন। ফলে আশার আলো দেখছেন ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। তাঁদের দাবি, তাঁরা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হোক।