ফের নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করে কিছু কেন্দ্রে বৈধ ভোটারদের নাম মুছে দেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও অবৈধভাবে নতুন ভোটার যোগ করা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তাঁর এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিশন স্পষ্ট জানায়, রাহুল গান্ধীর দাবি সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন। কমিশনের বক্তব্য, অনলাইনে কোনওভাবেই কাউকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।
রাহুলের অভিযোগের উত্তরে কমিশন (Election Commission) আরও জানায়, কারও সঙ্গে সরাসরি কথা না বলে তাঁর ভোট বাতিল করা যায় না। তবে তারা স্বীকার করেছে যে কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যদিও সেটা ব্যর্থ হয়। এই ঘটনা নিয়ে কমিশন নিজেই একটি এফআইআর করেছে।
কিন্তু রাহুলের অভিযোগ আরও গুরুতর। তাঁর দাবি, সিআইডি তদন্তে কমিশন কোনওভাবেই সহযোগিতা করছে না। গত ১৮ মাসে সিআইডি কমিশনকে ১৮ বার চিঠি দিয়েছে, যেখানে অভিযুক্তদের সফটওয়্যার, মোবাইল নম্বর, আইপি অ্যাড্রেস আর ওটিপি-র তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশন সেই তথ্য দেয়নি। রাহুলের বিস্ফোরক মন্তব্য, “কারণ কান টানলেই মাথা বেরিয়ে আসবে।”
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের দিকে আঙুল তোলেন। তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করছে তাদের সুরক্ষা দিচ্ছেন জ্ঞানেশ কুমার। এর আগেই রাহুল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তিনি ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটাবেন। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই এদিন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও প্রমাণ সামনে আনেন তিনি। রাহুল দাবি করেন, কর্নাটকের একটি কেন্দ্রে অন্তত ৬ হাজার ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। প্রমাণ হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি কাগজপত্র ও নম্বর সাংবাদিকদের সামনে দেখান।
রাহুলের অভিযোগে সারা দেশে নতুন করে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ভোট তালিকা নিয়ে এত গরমিলের পিছনে আসল সত্যিই বা কী?