মণিপুর দুই বছর ধরেই সহিংসতার আগুনে ঝলসে গেছে। এখন পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত। রাজ্যটিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি প্রশাসন জারি আছে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মণিপুর সফরে এসেছেন। তিনি ইম্ফলে অবতরণের পর সড়কপথে চুড়াচাঁদপুরের পিস গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন এবং সেখানে ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, মণিপুর আশা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার ভূমি, কিন্তু এটি দুর্ভাগ্যবশত অশান্তির কবল ঘটেছিল। তিনি ঘরছাড়া পরিবারদের দেখে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং নতুন আশা ও বিশ্বাসের উত্থান হবে বলে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনা ও শান্তিচুক্তি হওয়ায় সরকার খুশি এবং সরকার আলোচনা, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায়। তিনি সবাইকে শান্তির পথে ফিরে এসে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করার আহ্বান জানান এবং দাবি করেন যে কেন্দ্র সরকার মণিপুরবাসীর পাশে আছে।
প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রাজ্যের নামের অর্থ ব্যাখ্যা করে বললেন—“মণি” মানে দামী পাথর; নামের মতোই মণিপুর ভবিষ্যতে পুরো উত্তর-পূর্বকে উজ্জ্বল করবে। মণিপুরে ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আগেও এখানে বিদ্যুৎ সমস্যা ছিল; সরকার সেটি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে, শীঘ্রই ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে—এমন লক্ষ্য ব্যক্ত করেন তিনি—এবং তিনি চান উন্নয়ন দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁক। আগে দিল্লি থেকে যে ঘোষণা গুলো এখানে পৌঁছাতে সময় লেগে যেত, এখন মণিপুরও দেশের সঙ্গে উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে।
রেল ও বিমান যোগাযোগ উন্নয়নের কথাও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানিয়েছেন। জিরিবাম-ইম্ফল রেললাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এটাকে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সরকার ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। ইম্ফল বিমানবন্দর উন্নত করতে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে এবং এখান থেকে হেলিকপ্টার সার্ভিসও চালু হয়েছে। নতুন অবকাঠামো ও প্রকল্পের ফলে রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি ৭ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি আনবে এবং মানুষদের জীবনমান বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী মণিপুরবাসী ও চুড়াচাঁদপুরবাসীকে এই প্রকল্পগুলোর জন্য শুভেচ্ছা জানালেন।