মতুয়াদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই কল্যাণীর মতুয়া মহাসঙ্ঘ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরাও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে মহুয়া বিতর্কে কার্যত অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল অন্দরে (Mahua Moitra)।
তবে নিজের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরতে নারাজ মহুয়া (Mahua Moitra)। তাঁর স্পষ্ট দাবি, তিনি কোনও ভুল কথা বলেননি, বিজেপিই তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করছে। মহুয়ার ভাষায়—“মতুয়া নিয়ে আমি ভুল কিছু বলিনি। বনগাঁ আমরা জিতিনি, কৃষ্ণনগর টাউনও জিতিনি। কিন্তু তাতেই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন বন্ধ করেছেন? বিজেপি বাংলায় হেরেছে বলেই টাকা বন্ধ করেছে। আমি শুধু সেটাই বলেছি।”
এই বিতর্কের সূত্রপাত কৃষ্ণনগরের এক সভা থেকে। সেখানেই মহুয়াকে (Mahua Moitra) বলতে শোনা যায়—“সারা বছর তৃণমূল, আর ভোটের সময় সনাতনী—এটা কেমন হিসেব?” পাশাপাশি রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, তফসিলি জাতি ও জনজাতির মহিলারা তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা পান। অথচ এত সুবিধা নেওয়ার পরেও মতুয়ারা ভোটের সময় অন্য দলকে সমর্থন করেন।
সভায় আরও সরাসরি মন্তব্য করেন মহুয়া—“কাজের সময় মমতা, রাস্তার সময় মমতা, আর ভাতা নিতে এলে সবাই চলে আসেন। তখন ধর্ম কোথায় যায়?” তাঁর দাবি, ওই এলাকায় ১০০ ভোটের মধ্যে ৮৫টি বিজেপি পায় আর মাত্র ১৫টি ভোট যায় অন্য দলে।
এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মতুয়া মহল। তাঁদের অভিযোগ, মহুয়ার বক্তব্যে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তোলেন।
প্রতিক্রিয়ায় মহুয়া বলেন, “আমাদের দল গণতান্ত্রিক। আমার বিরুদ্ধে কেউ চিঠি লিখতেই পারে। এতে বড় কিছু হয় না। একসঙ্গে কাজ করব, দ্বন্দ্বও হবে। ঝগড়া-বিবাদ থাকবেই, আবার মিটবেও।”