যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল বৃহস্পতিবার রাতে। সেই সময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের দেহ (Student Death) উদ্ধার করা হয়। অনামিকা বেলঘরিয়ার নিমতার বাসিন্দা। কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে, এখনও তা পরিষ্কার নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত জানিয়েছেন, রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলার অনুমতি ছিল না। তবে নির্ধারিত সময়ের বাইরে অনেক সময় অনুষ্ঠান হয়। অনামিকার মৃত্যুর সময় অনুষ্ঠান চলছিল কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয় (Student Death)।
অমিতাভ দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, “রাতেই আমরা পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়েছিলাম। ছাত্রীকে উদ্ধার (Student Death) করে অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয় কেপিসি হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। তার পরিবারও রাতে হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সকলেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা শোকাহত।”
নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যা কম হওয়ায় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নজরদারি সম্ভব হয়নি। সহ-উপাচার্য বলেন, “আমাদের এত বড় ক্যাম্পাস। অনেক নিরাপত্তারক্ষী সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, আমরা ব্যবস্থা নেব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে তিনটি সিসি ক্যামেরা আছে। কিন্তু যেই পুকুর থেকে অনামিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই দিকের কোনও ক্যামেরা নেই। তাই কীভাবে তিনি পুকুরে পড়লেন, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
যাদবপুর থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার সকালে ছাত্রীর বাবা থানায় গিয়েছিলেন, পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।