আলিপুর চিড়িয়াখানায় দুই দিনের ব্যবধানে মারা গেল দুই বাঘিনী (Tiger)। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান, কোনও অসুস্থতা নয়, বার্ধক্যের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাদের (Tiger)।
প্রথমে মারা যায় পায়েল নামের ডোরাকাটা বাঘিনী, যার বয়স ছিল ১৫ বছর (Tiger)। পরের দিন মারা যায় রূপা, একটি সাদা বাঘিনী, তার বয়স ছিল ১৭। সাধারণত বাঘ ১৩ থেকে ১৪ বছর বাঁচে। সে তুলনায় দু’জনই অনেক দিন বেঁচে ছিল। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কর্মীদের যত্নের ফলেই তাদের আয়ু বেড়েছিল (Tiger)।
পায়েলকে ২০০৫ সালে ওড়িশা থেকে আনা হয়েছিল, আর রূপার জন্ম হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। সোমবার ও মঙ্গলবার, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তিনজন চিকিৎসকের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পশু হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও করা হবে। পরে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
দু’জনের মৃত্যুতে মন খারাপ চিড়িয়াখানার কর্মীদের। বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে বার্ধক্যের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, “চিড়িয়াখানার কর্মীরা পশুপাখিদের নিজেদের পরিবারের সদস্য মনে করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা তারা যেমন মানুষের জন্য কাজ করেন, তেমনই ভালোবাসা দেন পশুদেরও।”