দেশজুড়ে বড়সড় নাশকতার ছক কি বানানো হচ্ছিল? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে চারদিকে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল টানা অভিযানে গ্রেফতার (Terrorists Arrested) করেছে মোট ৫ জন জঙ্গিকে। পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃতরা সবাই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত (Terrorists Arrested)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একগুচ্ছ ভয়ঙ্কর জিনিস, যা দিয়ে সহজেই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো যেত।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই জঙ্গি চক্রের মাথা বোকারোর বাসিন্দা আশার দানিশ (Terrorists Arrested)। দীর্ঘদিন ধরেই সে গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। অবশেষে বুধবার ধরা পড়ে দক্ষিণ দিল্লিতে আফতাব ও আবু বকর ওরফে সুফিয়ানকে গ্রেফতার করার পর। তাদের কাছ থেকে দানিশের হদিশ মেলে। এরপরই ঝাড়খণ্ডের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের সঙ্গে যৌথ অভিযানে রাঁচির লোয়ার বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দানিশকে (Terrorists Arrested)।
তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দেশি পিস্তল, কার্তুজ, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, কপার শিট, বল বিয়ারিং, তার, সার্কিট বোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ও নগদ টাকা। এই সব কেমিক্যাল ও যন্ত্রাংশ মিলেই তৈরি হতো ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক।
পুলিশের দাবি, দানিশ পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এনক্রিপটেড অ্যাপের মাধ্যমে। তাদের নির্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় নকল গ্রুপ তৈরি করে ধর্মীয় উসকানি ও সাম্প্রদায়িক হিংসার বার্তা ছড়াত। পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরি ও নাশকতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছিল তার নেতৃত্বেই।
ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে, তাদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছিল দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, হায়দরাবাদ ও রাঁচি জুড়ে। সংগঠন বড় করার পাশাপাশি সক্রিয় করা হচ্ছিল স্লিপার সেলও। এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর পেছনে আরও বড় চক্র লুকিয়ে আছে। উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক ও যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যেই ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।
বড়সড় হামলার আগে কি ভেস্তে গেল আইএসআইএস-এর নাশকতার ছক? গোটা দেশ তাকিয়ে আছে দিল্লি পুলিশের হাতে আসা নতুন তথ্যের দিকে।