কলকাতার বুকে ফের নাবালিকা পাচারের (Minor Rescued) ঘটনা ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। গিরিশ পার্ক এলাকার একটি বাড়ি থেকে মোট ১১ জনকে উদ্ধার করেছে বটতলা থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মেয়েদের মধ্যে ৯ জন নাবালিকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গিরিশ পার্ক এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। একটি বাড়িতে ঢুকে দেখা যায়, একসঙ্গে রাখা হয়েছে একাধিক নাবালিকাকে (Minor Rescued)। পুলিশি হানার সময় বাড়ির মালিকও উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পাশাপাশি যারা মেয়েদের ওই বাড়িতে নিয়ে এসেছিল, তারাও পুলিশের জালে ধরা পড়ে। মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Minor Rescued)।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নাবালিকাদের পাচারের উদ্দেশ্যেই শহরে আনা হয়েছিল। কোথায় বা কার কাছে পাঠানো হচ্ছিল মেয়েদের— সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশের ধারণা, রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের মূল হোতার খোঁজে নেমেছে তদন্তকারী দল।
তদন্তকারীদের অনুমান, এই চক্র আগে আরও অনেক মেয়েকে পাচার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য মিললে নতুন করে নাবালিকা উদ্ধারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। কয়েক মাস আগেই শিলিগুড়িতে এক বড়সড় নারী পাচার চক্রের হদিশ মিলেছিল। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার থেকে তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিহারে। তখনও এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে একসঙ্গে ৫৬ জন তরুণীকে উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। তাই প্রশ্ন উঠছে— খাস কলকাতার এই নতুন চক্র কি উত্তরবঙ্গের সেই বড় র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত?
শহরের হৃদয়ে এই ঘটনা সামনে আসতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নাবালিকা পাচারের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ কলকাতার অন্দরেই চলছিল, তা ভেবেই হতবাক সবাই।