ইউরোপে যুদ্ধের হাওয়া বইছে আবারও! পোল্যান্ডের (Poland) আকাশসীমায় একের পর এক ড্রোন ঢোকার খবর ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন—
“রাশিয়া এখন পোল্যান্ডের (Poland) আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে ড্রোন দিয়ে? Here we go!”
পোল্যান্ড (Poland) জানিয়েছে, রাতভর আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের পর দেশজুড়ে মোট সাতটি ড্রোন এবং একটি অজ্ঞাতবস্তুর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা সংকেত জারি করে।
পোল্যান্ডের (Poland) প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন—“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমাদের দেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি এটি। যুদ্ধের ঠিক মুখোমুখি হয়তো আমরা নই, তবে এবার এক নতুন লাইন পার হয়ে গিয়েছে, যা আগের সব কিছুর চেয়ে ভয়ংকর।”
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লুবলিন প্রদেশে (বেলারুশ ও ইউক্রেন সীমান্তের কাছে) পাঁচটি ড্রোন ও ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। আরও দুটি ড্রোন মিসনিশকভ ও এলব্ল্যাঙ শহরে পাওয়া গেছে, যেগুলো পোল্যান্ডের গভীরে এবং একেবারে বাল্টিক সাগরের কাছাকাছি।
অভিযোগ সরাসরি রাশিয়ার দিকে গেলেও ক্রেমলিন সব অস্বীকার করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন—“এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও প্রমাণ নেই যে ড্রোনগুলো রাশিয়ার।”
কিন্তু ইউরোপ ক্ষেপে উঠেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বললেন—
“ঘটনাটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।” ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা সতর্ক করেছেন—
“রাশিয়ার বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইউরোপকে এখন আরও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।”
চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড ও লাতভিয়ার নেতারাও সরাসরি রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন নেটোকে উসকে দেওয়ার জন্য।