বিহারে বিরোধীদের সভা থেকে প্রয়াত মাকে নিয়ে কুকথা ছড়ানোর ঘটনায় অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। মঙ্গলবার বিহারে মহিলাদের জন্য জীবিকা নিধির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি (PM Modi)মায়ের প্রসঙ্গ তুলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। আবেগে ভরা গলায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)বলেন, “আমার মাকে নিয়ে কুকথা শোনা হৃদয়বিদারক। কিন্তু এ অপমান শুধু আমার মায়ের নয়, দেশের প্রতিটি মা, বোন ও মেয়ের অপমান।”
গত সপ্তাহে বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় নেমেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেই কর্মসূচির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেখানে কয়েকজনকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রয়াত মা হীরাবেনকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায়। এই ঘটনাতেই বিজেপি প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল।
এদিন জীবিকা নিধির ভার্চুয়াল উদ্বোধন মঞ্চ থেকেই মোদী বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “আমার মা শতবর্ষ পূর্ণ করার পর প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক ছিল না। তবুও তাঁকে নিয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে কুকথা বলা হল। আমার মা আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে আমি কোটি কোটি ভারতীয় মায়ের সেবা করতে পারি। কিন্তু যাঁরা আর নেই, তাঁদের নিয়েও যদি কুকথা বলা হয়, তাহলে সেটা কেবল আমার নয়—সমস্ত দেশের নারীর অপমান।”
রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যাঁরা রাজপরিবারে জন্মেছেন, রুপোর চামচ মুখে নিয়ে বড় হয়েছেন, তাঁরা গরিব মায়ের সংগ্রাম ও তপস্যা বুঝতে পারবেন না। তাঁরা ভাবেন ক্ষমতা তাঁদের পরিবারের উত্তরাধিকার। কিন্তু বিহার ও ভারতের মানুষ তা মানবে না।”
এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। একদিকে বিজেপি মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে কংগ্রেস–আরজেডি এখনও এই বিতর্কে নীরব। ফলে বিহারের ভোটের আবহে এই ইস্যুতে আরও বড় রাজনৈতিক ঝড় উঠতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।