Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিনোদন
  • ‘রেগে যাবে কুণাল ঘোষ’—গান গেয়েই ভাইরাল অনির্বাণ, তৃণমূল নেতার জবাব চমকে দিল সবাইকে
বিনোদন

‘রেগে যাবে কুণাল ঘোষ’—গান গেয়েই ভাইরাল অনির্বাণ, তৃণমূল নেতার জবাব চমকে দিল সবাইকে

anirban actor
Email :18

রবিবারের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন অভিনেতা-পরিচালক ও গায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। তাঁর নতুন ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’-এর গান ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়া। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি গেয়ে ফেললেন রাজনৈতিক স্যাটায়ার, আর তাতেই নেটপাড়ায় দাবানল (Anirban Bhattacharya)!

এই গানে একসঙ্গে নিশানায় চলে এসেছেন বঙ্গ রাজনীতির তিন ঘোষ—তৃণমূলের কুণাল ঘোষ, বিজেপির দিলীপ ঘোষ এবং বামের শতরূপ ঘোষ। গানের প্রতিটি লাইনে বিদ্রুপ আর ব্যঙ্গ। মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনির্বাণ যখন বললেন—“এসব গান-বাজনা বাদ দে, চল প্রোমোটারি করি, বড় গাড়ি চড়ি, ইলেকশনের মেজাজ বুঝে দলটা বদল করি”—তখন দর্শক আসরে হাসি আর হাততালির ঝড় ওঠে (Anirban Bhattacharya)।

সবচেয়ে বেশি সাড়া জাগায় সেই অংশ, যেখানে অনির্বাণ গানের সুরে বলেন—“গান-বাজনা করতে এসে এসব কথা বললে, রেগে যাবে, রেগে যাবে কুণাল ঘোষ!” তবে আশ্চর্যের বিষয়, কুণাল ঘোষ রাগ না করে বরং এই গানকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন (Anirban Bhattacharya)—“আমার মজা লেগেছে, ভালো লেগেছে। গানের ধরণ ও উপস্থাপন উপভোগ করেছি। একটু তির্যক তো বটেই, কিন্তু কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভালো থেকো অনির্বাণ।”

শুধু কুণাল নন, অনির্বাণের গান নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শতরূপ ঘোষও। তাঁর নাম নিয়ে অনির্বাণ গেয়েছেন—“ওটা বিপ্লবীদের পার্টি, আর এক ঘোষও আছে। টিভির চ্যানেল পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি। তাই কিনেছে গাড়ি। দামটা বেশি খুব, ফেসবুকেতে রাজা মোদের দাদা শতরূপ।” এই লাইন এখন নেটিজেনদের মুখে মুখে। শতরূপ বলেছেন—“আমরা সবসময় চাই শিল্পীরা রাজনৈতিক অবস্থান নিক। আমার নাম নিয়েছে, আমি কৃতজ্ঞ। সমালোচনা যদি শিল্পের মাধ্যমে আসে, সেটা আমরা স্বাগত জানাই।”

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষকে নিয়েও অনির্বাণ গান গেয়েছেন—“ভাই আর এক ঘোষও আছে। দাদা খুবই রোম্যান্টিক। ঘোষ দিয়ে যায় চেনা। গয়না-দোকান সব তুলে দাও, গরুর দুধে সোনা!” তবে এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেননি।

গান প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। অনেকেই লিখছেন—“এমন রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক গান আগে শোনা যায়নি।” কেউ বলছেন—“এটাই অনির্বাণের সাহস।” আবার কারও মন্তব্য—“রাজনীতির কাঁচা-ঘোষেদের এভাবে এক গানে বেঁধে ফেলা সত্যিই দারুণ।”

এখন প্রশ্ন উঠছে—রাজনীতির মঞ্চে নাম করে গান গেয়ে কি অনির্বাণ এক নতুন ট্রেন্ড তৈরি করলেন? নাকি এর জেরে বাড়বে আরও বিতর্ক?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts