এসএসসি-র নতুন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আবারও অনিশ্চয়তার জালে। আদালত থেকে আদালতে লড়াই থামছেই না (SSC Scam)। এবার সুপ্রিম কোর্টেই উঠল অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা নিয়ে দ্বন্দ্ব। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশ করা তালিকায় অযোগ্য দেখানো হয়েছে ১৮০৬ জনকে। কিন্তু মামলাকারী আইনজীবীদের দাবি—এই সংখ্যা আসলে অনেক বেশি, হয়তো ছ’হাজার ছাড়িয়ে যাবে। যদি আরও অযোগ্য প্রার্থী তালিকার বাইরে থেকে যান, আর তাঁরা পরীক্ষায় বসে পড়েন, তাহলে নতুন পরীক্ষাই ফের আইনি জটের ফাঁদে আটকে যেতে পারে।
গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দাগি শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করে এসএসসি (SSC Scam)। প্রথমে একটি তালিকা আপলোড করলেও সেটি সরিয়ে ফেলে আবার নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তাতে প্রথমে ১৮০৪ জনের নাম ছিল। পরে গভীর রাতে বিধায়ক কন্যার নাম জুড়ে দেওয়া হয়, ফলে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮০৬। কিন্তু এখানেই ঘনাল রহস্য। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে—সিবিআইয়ের হাতে যে নামের তালিকা ছিল, সেখানে আরও অনেক প্রার্থীর নাম ছিল। তবে কমিশনের তালিকায় এত কম নাম কেন (SSC Scam)?
এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিবিআই যাদের নাম দিয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরি দেওয়া হয়নি। তাই শুধুমাত্র যাঁরা অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁদের নামই তালিকায় রাখা হয়েছে (SSC Scam)। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তি মেনে নেয়নি। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে—কমিশনকে নতুন করে তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার আসল দাগিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেছেন, প্রথম তালিকায় এক বিধায়কের মেয়ের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল, পরে চাপ আসায় সংযুক্ত তালিকায় তা যোগ করা হয়েছে। তাই কমিশন আসল সংখ্যা আড়াল করতে চাইছে। বিকাশরঞ্জনের দাবি—“আমাদের হাতে যা তথ্য আছে, তাতে অযোগ্যদের সংখ্যা অন্তত ছ’হাজারের ওপরে।”
এখন প্রশ্ন উঠছে—নতুন পরীক্ষা আদৌ হবে তো? নাকি আবারও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জটেই থমকে যাবে গোটা প্রক্রিয়া? এই মামলার যবনিকা পতন কবে হবে, তার অপেক্ষায় শিক্ষক হতে চাওয়া হাজার হাজার পরীক্ষার্থী।