প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, তখনই নতুন মার্কিন ট্যারিফের কারণে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতেও মার্কিন দূতাবাস (America)ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তাকে বিশেষভাবে তুলে ধরেছে।
সোমবার দূতাবাসের (America) একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে “২১তম শতাব্দীর সংজ্ঞায়িত সম্পর্ক” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই পোস্টে দুই দেশের মধ্যে বৈচিত্র্যময় সহযোগিতার প্রসারও তুলে ধরা হয়েছে।
দূতাবাসের পোস্টে (America) আরও বলা হয়েছে, “এই মাসে আমরা মানুষ, অগ্রগতি এবং সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করছি যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ, প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক— এই সকল ক্ষেত্রে আমাদের যাত্রাকে শক্তি দিচ্ছে দুই দেশের মানুষের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব।”
এমন সময় এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে যখন সম্পর্কের সূক্ষ্ম দিকগুলো নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্যারিফ বৃদ্ধি নয়াদিল্লিতে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, একই সময়ে ওয়াশিংটন ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে চলমান শক্তি সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ বলে অভিহিত করে বলেন, “আমাদের দুই দেশের মানুষের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি। এটি আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সহায়তা করছে।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দূতাবাসের বার্তাটি এই কঠিন সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে। মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং যৌথ অগ্রগতির ওপর জোর দিয়ে ওয়াশিংটন প্রমাণ করতে চাইছে যে, বর্তমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সম্পর্ক দৃঢ় ও ভবিষ্যতমুখী।
প্রধানমন্ত্রী মোদির SCO শীর্ষ সম্মেলনে সফর এশিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে নজর আকর্ষণ করেছে। বিশেষ করে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠকগুলো তিন দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটে এমন সময়ে যখন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্যারিফ সংক্রান্ত উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় মিল রয়েছে, যা তিন দেশের ঘনিষ্ঠতাকে আরও দৃঢ় করছে।