ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার চিনের তিয়ানজিন শহরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন (Modi Jinping)। বৈঠকটি ঘণ্টাখানেকের বেশি স্থায়ী হয়। বৈঠকের একটি ছোট ভিডিও মোদী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মোদী ও জিনপিং (Modi Jinping) মুখোমুখি বসে আছেন এবং মোদী হিন্দিতে তাঁর বক্তব্য পাঠ করছেন।
বৈঠক শুরুতে মোদী প্রথমে জিনপিংকে (Modi Jinping) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গত বছরের কাজ়ান বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘সেই বৈঠকে আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচক দিশা পেয়েছিল। সীমান্তে বিরোধের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা আবার শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে।’’
এরপর মোদী ব (Modi Jinping) লেন, ‘‘ভারত ও চিনের ২০৮ কোটি মানুষের স্বার্থ এই সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’’ পুরো বক্তব্যই তিনি হিন্দিতে পড়ে শোনান এবং পরে স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
জিনপিংও (Modi Jinping) মোদীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে আবার দেখা হয়ে ভাল লাগছে। গত বছরের কাজ়ান বৈঠক সফল হয়েছিল। এই পৃথিবী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চিন ও ভারত বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আমাদের বন্ধুত্ব এবং প্রতিবেশী হিসাবে একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। ড্রাগন এবং হাতির একজোট হওয়া প্রয়োজন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কূটনৈতিক ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে হবে। বহুত্ববাদ, বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব ও গণতন্ত্রকে জাগ্রত করে শান্তি ও সংহতির জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।’’
মোদী দীর্ঘ সাত বছর পর চিনে গেলেন। জিনপিঙের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল প্রায় ১০ মাস আগে। এই বৈঠককে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ চলমান আমেরিকার শুল্ক আগ্রাসনের সময় ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত করার প্রয়াস এটি।
এ বছর এসসিও প্লাস সম্মেলন চিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে মোট ২০টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এসসিও ব্লকের সদস্য দেশগুলি হলো চিন, ভারত, ইরান, কাজ়াখস্তান, কিরগিস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, বেলারুশ এবং উজ়বেকিস্তান।