ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জন পুণ্যার্থীর (Landslide)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। গভীর রাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একের পর এক দেহ উদ্ধার হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (Landslide)।
ভারী বৃষ্টির জেরে শুধু বৈষ্ণোদেবীর পথে নয়, জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে (Landslide)। মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি পাহাড়ি রাজ্যটিকে বিপর্যস্ত করেছে (Landslide)। এর আগেও অগস্ট মাসের মাঝামাঝি কিস্তওয়ার ও কাঠুয়ায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে হড়পা বান ও ধস নেমেছিল। সেখানেও বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা ANI-কে রিয়াসির এসএসপি পরমবীর সিং জানিয়েছেন, “ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমে (Landslide) কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।” ইতিমধ্যেই বৈষ্ণোদেবী যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে— এমন প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও কীভাবে খোলা রাখা হল যাত্রাপথ?
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ও উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। ধস নামার সঙ্গে সঙ্গেই NDRF ও CRPF উদ্ধারকাজ শুরু করে। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি ও নিচু এলাকার মানুষকে ঘরের বাইরে না বেরোতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির জেরে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।