ঝাড়গ্রামের (Jhargram) ডড়রা গ্রামে এক বছর ৪০-এর যুবক সুনীল শবর বাড়িতেই মারা গেছেন। হাসপাতালে পৌঁছানো যেত কি না, তা পরিবারের কাছে ছিল অসম্ভব। কারণ, গ্রামের খাল পেরোতে গেলে একখানা অস্থায়ী সেতু ভেঙে পড়েছে, আর সাঁকোও জলের তোড়ে ধ্বংস (Jhargram) ।
নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জুড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। নদী ও খাল ফুলে উঠেছে, বহু অস্থায়ী সেতু ভেঙে পড়েছে। যার ফলে গ্রামে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।
ডড়রা গ্রামের প্রায় ৪০টি শবর পরিবারের বাস (Jhargram) । বছরের অন্য সময় খাল হেঁটেই পারাপার করা যায়, কিন্তু বর্ষার সময়ে তা সম্ভব নয় (Jhargram) । গ্রামের মানুষ স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছিলেন, তবে শনিবার সকালে জলের তোড়ে সাঁকো ভেঙে যায়।
সুনীল সম্প্রতি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে আগে জ্বর ও রক্তাল্পতায় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ফের অসুস্থ হলে পরিবারের কেউ হাসপাতাল পৌঁছে দিতে পারেননি। সুনীলের দিদি বলেন, “সাঁকো ভেঙে গেছে। এত জল পেরিয়ে কীভাবে ভাইকে হাসপাতালে নেওয়া যেত? বাড়িতেই মৃত্যু হল। সেতু থাকলে এভাবে মরতে হত না।”
বর্তমানে গ্রামবাসীরা বেলপাহাড়ি সদরের সঙ্গে এক কোমর জলের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছেন। ঘটনা জানাজানি হতেই ঝাড়গ্রাম জেলার DCRD ডিপার্টমেন্টের ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ করণ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব এখানে সেতু তৈরি করা হবে। বর্তমানে অবস্থা এমন যে একজন রোগী পারাপার করা সম্ভব নয়।”
গ্রামবাসীরা এখন সেতু নির্মাণের উত্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।