হঠাৎ করেই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সেই মুহূর্তে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল নানা জল্পনা–কল্পনা। বিরোধীরা দাবি তুলেছিল, সরকারের সঙ্গে মতভেদ তৈরি হয়েছিল ধনখড়ের, তাই তাঁকে চাপের মুখে পদ ছাড়তে হয়েছে। কেন্দ্র তখন কিছু বলেনি। এবার সরাসরি মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Jagdeep Dhankhar)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ধনখড়জি (Jagdeep Dhankhar) যখন সাংবিধানিক পদে ছিলেন, তখন তিনি সংবিধান মেনে খুব ভালো কাজ করেছেন। তাঁর ইস্তফাপত্রে পরিষ্কার লেখা আছে যে শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তিনি পদ ছেড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীসভা ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাই এই বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।”
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতির পদ ছাড়েন। এখন নতুন নির্বাচন হচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর ভোট হবে। এনডিএ-র প্রার্থী হয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। অপরদিকে বিরোধীরা প্রার্থী করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি. সুদর্শন রেড্ডি-কে।
তবে ধনখড়ের ইস্তফা নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ তুলতে ছাড়েনি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, সরকারের পরিকল্পনা মতো না চলাতেই ধনখড়ের উপরে চাপ তৈরি হয়েছিল। এমনকি তিনি বলেন, “যিনি রাজ্যসভা চালাতেন, তিনি আজ হঠাৎ নিখোঁজ। এটা নিছক ইস্তফা নয়, এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।”
রাহুলের বক্তব্যে উঠে আসে আরও একটি প্রশ্ন—জগদীপ ধনখড় কি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ স্পষ্ট জানান, শুধুমাত্র বিরোধীদের কথা শুনে সত্য-মিথ্যা বিচার করা ঠিক নয়। তাঁর মতে, ধনখড় নিজে ইস্তফাপত্রে সব কিছু পরিষ্কারভাবে লিখেছেন।
অর্থাৎ, শাহর দাবি—ধনখড়ের ইস্তফার আসল কারণ অসুস্থতা, রাজনীতির ষড়যন্ত্র নয়।