ত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটেছে (Murder)। টানা ৯ বছর ধরে পণের জন্য স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেছিলেন এক গৃহবধূ। শেষ পর্যন্ত সেই নির্যাতনের শেষ হলো জীবন্ত আগুনে পুড়ে (Murder)। মৃত ওই মহিলার নাম নিক্কি। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে সিরসা গ্রামে। কয়েক মাস পর একই পরিবারে বিয়ে হয় নিক্কির বোন কাঞ্চনেরও।
নিক্কির মৃত্যুর পর বোন কাঞ্চন সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিয়ের ছয় মাসের মধ্যেই নিক্কির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। শুধু নিক্কি নন, কাঞ্চনকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। জানা যায়, নিক্কির শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা পণ দাবি করা হয়েছিল। তাঁর বাবা এত টাকা দিতে না পারায় প্রতিদিনই অত্যাচার বাড়তে থাকে (Murder)।
গত বৃহস্পতিবার রাতেও চলতে থাকে সেই নির্যাতন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দুটি ভয়ঙ্কর ভিডিও। প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, স্বামী বিপিন নিক্কিকে চুল ধরে টেনে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করছে। সেখানে আরও এক মহিলাকে দেখা যায়, যিনি মারধরে সাহায্য করছিলেন। দ্বিতীয় ভিডিও আরও হৃদয়বিদারক। সেখানে দেখা যায়, আগুনে দগ্ধ অবস্থায় নিক্কি সিঁড়ি দিয়ে পড়ে যাচ্ছেন। তাঁর শরীর প্রায় ছাই হয়ে গেছে। দূর থেকে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
নিক্কির ছোট ছেলে মায়ের মৃত্যুর ঘটনার ভয়ঙ্কর সত্যও ফাঁস করেছে। সে পুলিশকে জানিয়েছে, “বাবা মায়ের গায়ে কিছু ঢেলে দেয়, তারপর আগুন লাগিয়ে দেয়।”
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী বিপিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও জেরা করা হচ্ছে। নিক্কির মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।