মনের মানুষ যদি পাশে থাকে, তাহলে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌনতা এক স্বাভাবিক প্রবৃত্তি (Gen Z)। শরীরী খেলায় মেতে ওঠা দাম্পত্য সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিশেষ করে জেন জেড-এর অনেকেই যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। তারা মানসিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের দিকে তেমন মনোযোগ দিচ্ছে না (Gen Z)।
যারা শুধু মানসিক এবং আবেগের সম্পর্ককে মূল্য দেন, তাদের ‘গ্রেসেক্সুয়াল’ বা Greysexual বলা হয়। এই ধরনের মানুষ মূলত পছন্দের মানুষের হাত ধরে জীবন কাটাতে চান(Gen Z)। তারা খুব কম সময় শরীরী সম্পর্কের সঙ্গে মেতে ওঠেন। মানসিক বা আবেগের বন্ধন না থাকলে কারও সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে পারেন না। গ্রেসেক্সুয়ালদের জন্য একটি ফোরামও আছে, যেখানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮,৩০০ (Gen Z)।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্যস্ত জীবন ও মানসিক চাপও জেন জেড-এর (Gen Z) যৌন আগ্রহ কমানোর একটি কারণ। ছোটবেলা থেকেই তারা প্রতিযোগিতার চাপ সামাল দিতে ব্যস্ত, যা মানসিক অবসাদ তৈরি করছে এবং যৌনজীবনে প্রভাব ফেলছে। এছাড়া, নিজের চেহারা নিয়ে তারা অত্যন্ত খুঁতখুঁতে। চেহারার কারণে মন খারাপ হওয়া এবং আত্মবিশ্বাস কম হওয়াও শরীরী সম্পর্কের প্রতি অনীহা তৈরি করছে।
সোশাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারও এক সমস্যা। জেন জেড ডিজিটাল জগতে বেশি সময় কাটায়, যার কারণে বাস্তব জীবনের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো কমে যাচ্ছে। অতিরিক্ত পর্ন দেখা এবং ডিজিটাল সংযোগে আসক্তি যৌন চাহিদা কমাচ্ছে। তাই, ‘গ্রেসেক্সুয়াল’রা মানসিক ও আবেগিক সম্পর্ক তৈরি না হলে শারীরিক খেলার উৎসাহ পান না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেন জেড-এর যৌনতায় আগ্রহ হারানোর এই প্রবণতা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক। তরুণ প্রজন্ম যৌনতায় আগ্রহ হারালে, একসময় জন্মহারও কমতে পারে। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে এটি দেশের জনসংখ্যা এবং সমাজের স্থিতিশীলতার জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।