ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ এখন আরও চাপে ফেলছে আমেরিকাকে (Trade War)। কারণ ব্রিকস (BRICS) দেশগুলি একের পর এক মার্কিন আমদানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের বাজারে বৈচিত্র আনছে। ফলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খাচ্ছেন আমেরিকার কৃষকরা (Trade War)।
রাশিয়া ও চিন ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্যের জন্য নিজেদের বাজার খুলে দিয়েছে (Trade War)। এবার ব্রাজিলও যুক্ত হল সেই দলে। চিন, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোয়াবিন আমদানিকারক দেশ, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বদলে ব্রাজিল থেকেই বিপুল পরিমাণ সোয়াবিন কিনছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এক টনও মার্কিন সোয়াবিন কিনছে না চিন (Trade War)।
এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মার্কিন কৃষকরা। কারণ কাটাই মরসুম শুরু হতে মাত্র এক মাস বাকি থাকতেই তাঁদের বিশাল অর্ডার কমে যাচ্ছে। জুলাই মাসেই চিন আমেরিকা থেকে প্রায় ৪,২০,৮৭৩ টন সোয়াবিন আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১.৫% কম। অন্যদিকে বর্তমানে মার্কিন পণ্যের উপর ২০% শুল্ক ধার্য করছে চিন।
ফলে চরম বিপদে পড়েছেন মার্কিন কৃষকরা। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কৃষকরা সরাসরি ট্রাম্পকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন— “আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারব না। এতে আমরা বাঁচব না।”
অন্যদিকে, শুধু জুলাই মাসেই চিনের সোয়াবিন আমদানি গত বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ১৯%। এর মধ্যে প্রায় ৯০% সরবরাহ করেছে ব্রাজিল, আর আমেরিকার অংশ ছিল মাত্র ৪%। রয়টার্স জানিয়েছে, এই পরিবর্তনের ফলে মার্কিন কৃষকরা কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়বেন, কারণ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আমেরিকার সোয়াবিন রপ্তানির অর্ধেকের বেশি কিনেছিল চিন।
এই পরিস্থিতির মাঝেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে ফোন করে কথা বলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন— “চিন ব্রাজিলের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করতে পাশে রয়েছে।” অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করেই এই মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। কারণ ট্রাম্প কিছুদিন আগেই ব্রাজিলের উপরও বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছিলেন এবং তার যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছিলেন, ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ জায়ের বলসোনারোর বিরুদ্ধে চলা তদন্তকে।