ভারতের উপর আবারও শুল্ক চাপিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরেই নয়া দিল্লির উপর এই বাড়তি চাপ। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠছে। শুধু ভারতই নয়, ট্রাম্পের নিজের সতীর্থরাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এই সিদ্ধান্তে। এবার সরাসরি মুখ খুললেন রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি (Niki Haley)।
নিকি হ্যালি (Niki Haley) সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি ভারতকে চিনের মতো প্রতিপক্ষ মনে করে, তবে সেটা ভয়ানক ভুল হবে। আমেরিকার উচিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা, কারণ চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে সবচেয়ে বড় বন্ধু হতে পারে ভারতই। তাঁর (Niki Haley)কথায়, ভারতকে সবসময় গণতান্ত্রিক অংশীদার হিসেবে দেখতে হবে, শুল্ক চাপিয়ে নয়।
ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে টানাপোড়েন নতুন নয়। ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। সম্প্রতি আবার রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করার কারণে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। অন্যদিকে ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে মধ্যস্থতার দাবি করেছিল আমেরিকা, যা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে ভারত। ফলে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ খারাপ দিকে গিয়েছে।
নিকি হ্যালি মনে করিয়ে দেন, যদি সত্যিই ওয়াশিংটন চিনকে হারাতে চায়, তবে ভারতের সাহায্য অপরিহার্য। কারণ জামাকাপড়, সস্তা ফোন, সোলার প্যানেল কিংবা বিভিন্ন ভোক্তাপণ্য দ্রুত তৈরি করতে আমেরিকা এখনও সক্ষম নয়। এসব ক্ষেত্রে ভারতই হতে পারে আমেরিকার ভরসা।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ভারতের গুরুত্ব আরও বাড়বে। কারণ চিনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে, তাদের শ্রমশক্তি বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। অথচ ভারতের যুবসমাজ এখনও কর্মক্ষম এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় নামার জন্য প্রস্তুত। তাই গণতান্ত্রিক ভারত কখনোই বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে না, বরং আমেরিকার সেরা মিত্র হতে পারে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত, নড়েচড়ে বসেছেন আমেরিকার প্রাক্তন কূটনীতিকরাও। এখন প্রশ্ন একটাই—চিনকে ঠেকাতে কি সত্যিই ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ করবেন, নাকি নতুন করে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবেন?
আপনি চাইলে আমি এই লেখাটাকে ফেসবুক পোস্টের মতো একেবারে ভাইরাল স্টাইলে হেডলাইনসহ সাজিয়ে দিতে পারি। চাইবেন কি?













