বিভিন্ন রাজ্যে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে—বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপাল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখেন। এর জেরেই রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এবার সেই প্রসঙ্গই উঠল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বুধবার প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রকে প্রশ্ন করল (Supreme Court)—“সংবিধান প্রণেতারা যেমন চেয়েছিলেন, রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে কি আজও সেই সামঞ্জস্য রয়েছে?”
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এখন বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চ শুনানি শুরু করেছে। এই বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি অতুল এস চন্দুরকর।
শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল (Supreme Court) তুষার মেহতা যুক্তি দেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০ রাজ্যপালকে বিল অনুমোদনের ক্ষমতা দেয়। আবার অনুচ্ছেদ ২০১ রাজ্যপালকে সেই বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠানোর ক্ষমতা দেয়। কিন্তু সময়সীমা বেঁধে দিলে তাঁদের ক্ষমতা সীমিত হয়ে যায়, যা সংবিধানের পরিপন্থী। কেন্দ্রের বক্তব্য, বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির ‘সর্বোচ্চ সাংবিধানিক অধিকার’, তাই এতে কোনও সময়সীমা চাপানো উচিত নয়।
এরপর বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, “যদি রাজ্যপাল বিল ফেলে রেখে দেন, তখন কী হবে? এর সমাধান কী?” বিচারপতিরা আরও জানতে চান, সংবিধান যে ভারসাম্যের কথা বলেছিল, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে আজও কি তা বজায় আছে?