কয়েকদিন আগে জলসা দেখতে গিয়ে দুই বিজেপি কর্মী (BJP Worker death) সুধীর পাইক ও সুজিত দাসের দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তাঁদের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়েছে। কিন্তু মৃতদের পরিবার প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিল যে তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ফের ময়নাতদন্ত করতে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় এসএসকেএম হাসপাতালে (BJP Worker death) । সেই রিপোর্ট এলে দেখা যায় প্রথম রিপোর্টের সঙ্গে স্পষ্ট বিরোধ।
মঙ্গলবার এসএসকেএমের রিপোর্ট আদালতে জমা পড়তেই স্তম্ভিত হন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্টে (BJP Worker Death) একরকম বলা হচ্ছে, আবার এসএসকেএমের রিপোর্টে অন্যরকম কীভাবে?”
এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ছ’জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, নয়জন সাক্ষীও নেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথায়, প্রথম ময়নাতদন্তের পুরো ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে এবং দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। দুই রিপোর্টের মধ্যে পার্থক্যের কারণ হতে পারে দেহ সঠিকভাবে সংরক্ষণ না হওয়া, দীর্ঘ দূরত্বে দেহ নিয়ে আসা বা পচনের কারণে নতুন দাগ তৈরি হওয়া (BJP Worker Death)। তাই দ্বিতীয় রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তকারী আধিকারিককে পরিবর্তন না করার আবেদন জানায় রাজ্য।
বিচারপতি জানান, “এটা চিকিৎসকদের আলোচনার বিষয় হতে পারে। আমি তাতে কিছু বলব না। কিন্তু এসএসকেএমের তিনজন চিকিৎসক পরীক্ষা করে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেটি মানুষের কাছে আস্থার জায়গা তৈরি করে। তদন্তে মানুষের বিশ্বাস অটুট রাখা জরুরি।”
রাজ্য আরও যুক্তি দেয়, তদন্তকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, পুলিশ নাকি কারও চাপে কাজ করছে—এটা সম্পূর্ণ ভুল। আদালত অবশ্য জানিয়ে দেয়, দুই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সুধীর পাইকের ক্ষেত্রে প্রায় একই, কিন্তু সুজিত দাসের রিপোর্টেই মূল পার্থক্য ধরা পড়েছে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার।