বুধবার, ২০ আগস্ট লোকসভায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার সময় (Parliament)। বিরোধীরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সাংসদ শতাব্দী রায় এবং মিতালী বাগের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ কিরণ রিজিজু এবং রভনীত সিং বিট্টু তাঁদের হেনস্থা করেন (Parliament)।
অমিত শাহ প্রথমে লোকসভার একেবারে সামনের সারিতে বসে ছিলেন। বিরোধীদের হইচইয়ের কারণে তাঁকে আসন ছেড়ে পিছনের দিকে গিয়ে বিল পেশ করতে হয় (Parliament)। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে ঘটনাটি। তৃণমূল সাংসদ মিতালী বাগ জানান, তাঁরা ওয়েলে নেমে শান্তিপূর্ণভাবে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সেই সময় বিজেপি সাংসদরা এসে তাঁদের ধাক্কা দেন। এমনকি তাঁর নিজের হাতেও চোট লেগেছে বলে দাবি করেছেন তিনি (Parliament)। তাঁর অভিযোগ, “প্রথমে আবু তাহেরকে ধাক্কা মারা হয়, তারপর শতাব্দীদি আর আমাকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। মহিলা সাংসদদের টার্গেট করা হয়েছে। আমাদের প্রাণের ভয় হচ্ছে।”
অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, আসলে তৃণমূলই গোলমাল করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখানোর সময় মন্ত্রীদের দিকে ধেয়ে এসেছিলেন, ফলে স্বাভাবিকভাবেই পাল্টা স্লোগান হয়েছে। তবে কারও উপর হামলা হয়নি। তিনি আরও দাবি করেন, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে কাগজ ছুড়ে মেরেছেন। তাঁর মতে, শাস্তি এড়াতেই তৃণমূল এখন ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলছে।
ঘটনার পর থেকেই সংসদ চত্বরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিরোধীরা মহিলা সাংসদদের উপর হামলার অভিযোগ তুলছেন, আর শাসকদল বিজেপি বলছে সবটাই সাজানো নাটক।











